নারায়ণগঞ্জে জোর করে হত্যা ও গণধর্ষণের স্বীকারোক্তি আদায়ের পর কথিত মৃত কিশোরীর ফিরে আসার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার আবেদন করেন এক আইনজীবী।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, সংশ্লিষ্ট কিশোরী ও থানার ওসির সাথে আলোচনা করেই এই মামলার আবেদন করা হয়েছে। পরে আদালত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মামলাটি গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক জাহাঙ্গীরের ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দিসা মনি। এক মাস পর ৬ আগস্ট জিসা মনির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এই মামলায় ৭ আগস্ট পুলিশ গ্রেপ্তার করে জিসা মনির কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ও অটো চালক রকিবকে। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট গ্রেপ্তার তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ধর্ষণের পর হত্যা করে তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। কিন্তু রোববার (২৩ আগস্ট) সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সর্বত্র।
এদিকে ভিকটিম জিসা মনি আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সাথে জিসার স্বামী ইকবালকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহউদ্দিন আহমেদ ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা পরিদর্শক ইকবাল হোসেন।
টাইমস/এইচইউ