এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে আরও সময় চায় শিক্ষাবোর্ড

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণে আরও সময় নিতে চায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। সবার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। তাই করোনা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে কমিটি।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের সব ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কবে নাগাদ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সরকার বলছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে পরীক্ষা নেয়ার মত সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

জানা যায়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এ বছর এই সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণই সম্ভব হয়নি। ফলে এমনতিইে শিক্ষার্থীদের প্রায় পাঁচ মাসের সেশনজটে পড়তে হবে। এরপর যদি এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণে আরো দেরি হয়, তাহলে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট দীর্ঘ হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় কখন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। নতুন সূচি প্রকাশের অন্তত ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তবে শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের প্রায় সব কিছুই খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি ভাবতে পারে সরকার।

এ বিষয়ে সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। আর কত দিন অপেক্ষা করা যায়? তবে এ জন্য কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে যা যা করা দরকার, তা মেনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এছাড়া আর কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। কারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবার আগে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে তাইজুলের ২৫০ উইকেট Nov 23, 2025
img
আমার বাবা ও মা অসমের বড় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন: পাপন Nov 23, 2025
img
বায়োপিক একেবারেই পছন্দ করি না: আবির চ্যাটার্জি Nov 23, 2025
img
রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরে পাথরবোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ Nov 23, 2025
img
একসময় বাড়ি ভাড়া চোকানোর মতো ক্ষমতাও আমার ছিল না: কার্তিক আরিয়ান Nov 23, 2025
img
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ Nov 23, 2025
img
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ Nov 23, 2025
img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ Nov 23, 2025
img
ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল Nov 23, 2025
img
তাইজুলের মাইলফলকে উচ্ছ্বসিত সাকিব আল হাসান, শুভকামনায় ৪০০ উইকেট Nov 23, 2025
img
সশরীরে নয়, গুমের মামলায় ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে চান সেনা কর্মকর্তারা Nov 23, 2025
img

মন্ত্রী স্টিভেন সিম

‘শ্রমিক শোষণের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি’ Nov 23, 2025
img
দেবের সঙ্গে রোম্যান্স হবে, ভাবতেও পারিনি: জ্যোতির্ময়ী Nov 23, 2025
img
অডিয়েন্সকে দেখলে অন্য কোনো চিন্তা আর মাথায় থাকে না: জোজো Nov 23, 2025
img
পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে রিয়াল মাদ্রিদ, বিশ্বাস আলোনসোর Nov 23, 2025
img
ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো রেলভাড়া না বাড়ানোর ঘোষণা Nov 23, 2025
img

প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় Nov 23, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির পর এবার ভেনেজুয়েলায় ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক Nov 23, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের Nov 23, 2025
img
ভোট গণনা ও ফলাফল পর্যন্ত মাঠে থাকবে যুবদল: মোনায়েম মুন্না Nov 23, 2025