দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯ টার দিকে আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পৌঁছায় তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। ওমর আলী এতদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, তার চার হাত-পা অবশ হয়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ওমর আলী শেখের কোমরের নিচের অংশ পুরোটাই অবশ হয়ে গেছে। কথা বলতে ও খেতে পারলেও হাঁটাচলা করতে পারছেন না তিনি।
রমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উনার স্পাইনাল কর্ডে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এ ধরনের সমস্যা থেকে সেরে উঠতে সাধারণত দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। আপাতত তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে গত ৭ সেপ্টেম্বর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম রোববার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ইউএনও ধীরে ধীরে সুস্থ হলেও শতভাগ শঙ্কামুক্ত বলার সময় হয়নি এখনও।
গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন
বেরিয়ে এলো ইউএনও’র ওপর হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য
টাইমস/এইচইউ