বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলার ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার বিচার শুরু হলো।
ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর তথা আজকের দিন ধার্য্য করেন।
এদিকে অভিযোগ গঠন করার দিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন আদালত।
গত বছর ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ছয় জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামি কারাগারে আছে। এছাড়া ৩ আসামি পলাতক রয়েছে।
আসামিরা হলো - মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
এর মধ্যে তিন আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলো- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করায় গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই সময় তারা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় গত বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
টাইমস/এসএন