স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। দীর্ঘদিন এক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন চালু থাকার পর বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া সব ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট (দাঁড়ানো যাত্রীর কাছে টিকিট) বিক্রি বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে।
বুধবার থেকে ট্রেনের ৫০ ভাগ টিকিট কাউন্টারে দেওয়া হয়, বাকি ৫০ ভাগ অনলাইনে মিলছে।
যাত্রী ও স্টেশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে যেসব ট্রেন ১০ দিন আগে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করেছে, বুধবার থেকে সেসব ট্রেনেও বাকি আসনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আগে ট্রেনে মোট আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করা হতো। আজ থেকে সব ট্রেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলছে। আমরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট এবং স্টেশনের কাউন্টার থেকে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে এবং সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।
এর আগে মঙ্গলবার রেলওয়ের উপপরিচালক মো. নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত করা এক বার্তায় বুধবার থেকে ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রির কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ইস্যু করার ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহের মোট আসনসংখ্যার শতভাগ টিকিট ইস্যু করা। এক্ষেত্রে আন্তঃনগর ট্রেনে সব আসনবিহীন টিকিট ইস্যু করা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। এছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের মোট আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ শতাংশ মোবাইল আ্যাপ/অনলাইন/মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিট ইস্যুর সংশোধনীসমূহ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ হতে কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সময়ে সময়ে জারিকৃত টিকিট ইস্যু এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করার অন্যান্য নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে পাঁচ মাস ১৮ দিন পর গত শনিবার থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। ওইদিন থেকে ট্রেনের ৫০ শতাংশ আসনের অর্ধেক টিকিট পাওয়া যায় কাউন্টারে। বাকি অর্ধেক ২৫ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ, অনলাইনে বিক্রি করা হয়। তবে বুধবার থেকে ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ