সালমা বেগম ও আবদুর রহিম- দুজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একজন বাড়ি সিলেটে, অন্যজনের ঢাকায়।
সোমবার ভোরে সিলেটের ব্রাহ্মণপাড়ার সীমান্ত এলাকায় রহিমের কাছে গাঁজা কিনতে যান সালমা।
পাইকারি কারবারি রহিমকে তিন কেজি গাঁজার টাকা দেন তিনি। কিন্তু রহিম তাকে এক কেজি গাঁজা দেন। আর এতেই বেধে যায় ঝামেলা।
পরে সালমা জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। গাঁজা কম দেয়ায় ওই কারবারির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন।
কিন্তু অভিযোগ জানাতে গিয়ে নিজেই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের এসআই মো. জাকির হোসেনের কাছে ফোন আসে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে। তাকে ফোনে জানানো হয় ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে এক নারী গাঁজা ব্যবসায়ী রয়েছেন। খবর পেয়েই ফোর্স নিয়ে ছুটে যান এসআই মো. জাকির।
তবে পুলিশ আসার আগেই স্থানীয় পাইকারি মাদক কারবারি পালিয়ে যান। এ সময় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়া খুচরা মাদক ব্যবসায়ী সালমা বেগমকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, সালমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। রহিমের কাছ থেকেই পাইকারিতে গাঁজা কিনে এনে ঢাকায় বিক্রি করেন সালমা বেগম।
তিন কেজি গাঁজার জন্য রহিমকে টাকা দেন সালমা। রহিম তিন কেজির টাকা নিয়ে গাঁজা দেন এক কেজি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রহিমের সঙ্গে সালমার বাগবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান সালমা। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ থেকে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কৌশলে সটকে পড়েন পাইকারি ব্যবসায়ী রহিম। এ সময় এক কেজি গাঁজাসহ সালমাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের এসআই মো. জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি এমন হবে বুঝতে পারিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি অবাক হলাম। আবদুর রহিমকে পাওয়া না গেলেও সালমাকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
পলাতক আবদুর রহিমকে আসামি করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।