বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্র, বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ!

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সারা দেশের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে লটারিতে ভর্তি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সরকারি ৩৯০টি স্কুলে লটারি হয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে। একইদিন ফল প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি।

তবে ফলাফলে বেশকিছু গরমিল দেখা গেছে। দেখা যায় ময়মনসিংহের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ভর্তির ‘সুযোগ’ পেয়েছে তিন ছাত্র। ঠাকুরগাঁওয়ে বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ ছাত্রী। টাঙ্গাইলে একটি বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় একই ছাত্রের নাম পাওয়া গেছে ৫ বার। এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কি এনিয়ে চিন্তিত অভিভাবক মহল।

জানা গেছে, ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ছেলে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে ‘ভর্তির সুযোগ’ পাওয়া তিন ছেলে শিক্ষার্থী হলো- ফায়াজ জাহাঙ্গীর ইশমাম, মো. জোবায়েরুল হাসান খান ও ফারাবী ইসলাম। চতুর্থ শ্রেণিতে মর্নিং শিফটের ভর্তি তালিকায় এসেছে তাদের নাম।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ওই তিন ছেলে শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মোছা. ওয়াসিমা আকতার লুবনা নামের একজন মেয়ে লটারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া লটারিতে নির্বাচিতদের তালিকায় ‘মো. বোরহানুজ্জামান’ নামের একজনের নাম, আইডি দুইবার দেখা গেছে। আর ঠাকুরগাও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে তিনজন ছেলে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, অভিভাবকদের ভুলের কারণে এমন হয়েছে। আবেদনে নারী এবং পুরুষ অপশন ছিল। এ ক্ষেত্রে কোনেও মেয়ে যদি পুরুষ অপশনে ক্লিক করে তার ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, টেলিটক কারিগরি বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে। বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছে। কোনোভাবেই ছেলেদের স্কুলে মেয়ে বা মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে হাদির জানাজায় দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন : জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি ‘ইক্কিস’ ঘিরে আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া Dec 20, 2025
img
মাদুরো সরকারকে ‘অবৈধ’ বললেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক Dec 20, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার Dec 20, 2025
img
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ Dec 20, 2025
img
‘সকালে মাঠে গিয়ে দেখি সব শেষ’ Dec 20, 2025
img
ভারতকে হারানোর ম্যাচেও জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাফুফেকে Dec 20, 2025
img
সিরিয়ায় বড় পরিসরে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র Dec 20, 2025
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই মাস আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পরিবর্তন Dec 20, 2025
img
‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত শিল্পকলার সব অনুষ্ঠান Dec 20, 2025
img
বিপিএল আয়োজন নিয়ে উদ্বেগের জবাব দিল বিসিবি Dec 20, 2025
img

সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ

এক মাসে সবচেয়ে স্থিতিশীল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য Dec 20, 2025
img
অখণ্ড সিরিজের ইতি, বাতিল তৃতীয় কিস্তি Dec 20, 2025
img
লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই ওসমান হাদির মরদেহ দেখতে গেলেন জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ ছায়ানটের Dec 20, 2025
img
দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের প্রকৃত সেবক : সেলিমুজ্জামান Dec 20, 2025
img

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর বিবৃতি

কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে Dec 20, 2025
img
রাশিয়াকে পশ্চিমা দেশগুলো সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না : পুতিন Dec 20, 2025
img
ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন Dec 20, 2025