যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় মোবাইলফোন চোর সন্দেহে মামুন হাসান (২২) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মামুন হাসান মণিরামপুর উপজেলার খোজালিপুর এলাকার মশিয়ার গাজীর ছেলে ও মণিরামপুর আলিয়া মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মণিরামপুর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় বুধবার রাতেই নিহতের বাবা মশিয়ার গাজী ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন– মণিরামপুর উপজেলার খাজালিপুর গ্রামের মাহামুদ হোসেনের ছেলে মো. লাভলু (২৫), একই গ্রামের মিজানুর গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৩০) এবং ইউসুফ আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন (১৯)।
বাদী মশিয়ার গাজীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে মামুনকে ডেকে হরিহর নদের পাড়ে নিয়ে যায় আরমান । সেখানে লোকজন এসে মামুনকে নদের পানিতে ফেলে মারধর করে। এরপর ওই গ্রামের আয়নালদের বাড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ভোর ৩টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা মামুনকে মারধর করেন আসামিরা। খবর পেয়ে মামুনের মা সেখানে গিয়ে ছেলেকে মরণাপন্ন অবস্থায় দেখতে পান।
বুধবার সকালে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে বিকাল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। ওই রাতে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাইমস/এসজে/এসএন