ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একটি চিহ্নিত মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে বারবার বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কখনও ভাস্কর্যের নামে আন্দোলন, কখনও বিদেশি সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এসবই সাজানো নাটক। তারা এখন ছাত্র সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের হাতেই আমরা আমাদের ভাষা আন্দোলন পেয়েছি, ভাষার অধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। আজকে যখন বৈশ্বিক সংকট চলছে, সেই সময়ে শিক্ষাবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারপরও সমালোচনা চলছে।

ডা. দীপু মনি বলেন, ৭ কলেজের ক্ষেত্রে আমরা মানবিক কারণে ব্যতিক্রমী চিন্তা করেছি। কারণ তারা তিন বছর পিছিয়ে পড়েছে। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সারাদেশে রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সেশনজট তেমন নেই। কাজেই তাদেরকে নিয়ে আমরা ভিন্ন কিছু ভাবতে পারছি না। এছাড়া অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও ভালো। আবার অনেকের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে অস্থিরতা ছিল। সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিন্তু এই কঠিন সময়ে একটি মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা এখন শিক্ষার্থীদের মাঠে নামাতে চাইছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মাত্র। এ অবস্থায় আমরা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

খনিজ সম্পদ নয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড লাগবে: ট্রাম্প Dec 24, 2025
“মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের”—কর্নেল হাসিনুরের কথার সঙ্গে একমত পোষণ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ইবরাহিমের Dec 24, 2025
পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হারের ব্যাখ্যা চায় বিসিসিআই Dec 24, 2025
ভারত সাহায্য চেয়েছে, বিস্ফোরক দাবি পাকিস্তানের সাবেক তারকার Dec 24, 2025
ঢাকার কোচিং প্যানেলে স্থানীয় কোচদের আধিক্য Dec 24, 2025
img
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইতিহাস: নাহিদ ইসলাম Dec 24, 2025
img
কাবুলের রাস্তায় একা হাঁটতে পারেন না রশিদ খান Dec 24, 2025
img
ব্যাটিং পেলেন না সাকিব, গালফ জায়ান্টসকে ৮ উইকেটে হারাল এমআই এমিরেটস Dec 24, 2025
img
এ ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ গ্রিনল্যান্ডই নির্ধারণ হবে : গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী Dec 24, 2025
img
মৌলভীবাজারে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা Dec 24, 2025
img
মাদুরো যদি তেড়িবেড়ি করে, এবারই শেষবারের মতো তেড়িবেড়ির সুযোগ পাবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 24, 2025
img
তারেক রহমানের আগমন, শাহজালালে ২৪ ঘণ্টা দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা Dec 24, 2025
img
নির্বাচন-গণভোট নিয়ে ৮ গান, ঢাকা বিভাগেরটা রিলিজ Dec 24, 2025
img
ভেনেজুয়েলা থেকে জব্দ করা তেল যুক্তরাষ্ট্র বিক্রি করতে পারে: ট্রাম্প Dec 24, 2025
img
প্রশাসনের অবস্থা উদ্বেগজনক, কেউ কাউকে মানছে না: ফয়জুল করিম Dec 24, 2025
৩ স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থীর সমর্থন পেলেন ছাত্রদল–সমর্থিত রাকিব Dec 24, 2025
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ঘটনায় যা জানালেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী Dec 24, 2025
স্বাধীনতায় ভারতের শেয়ার নিয়ে যা বললেন কর্নেল হাসিনুর রহমান Dec 24, 2025
তারেক রহমানের নিরাপত্তায় যত আয়োজন! Dec 24, 2025
শীতকালে যে আমল করবেন Dec 24, 2025