সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৫ মে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারেন। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা তার এক আত্মীয় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামও এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মিনী ইসরাতুন্নেসা কাদের, এপিএস মহিদুল হক, সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফাইয়াজ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সুখেন চাকমা, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার মনসুরুল আলমসহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রী। বাকিরা থাকছেন পাশের একটি হোটেলে। এখান থেকেই চিকিৎসক ডা. ফিলিপ কোহের চেম্বারে চেকআপের জন্য নিয়মিত যাতায়াত করছেন তিনি। বাসায় ও পার্কে হাঁটাহাঁটি করে তার দিন কাটছে সেখানে।
ওবায়দুল কাদের এখন অনেকটাই সুস্থ। আগামী ২৫ মে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় গোমতী ও দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকতে পারবেন- এমনটা ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানান, ওবায়দুল কাদের দেশে আসার পর দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরও থাকতে পারেন।
ওবায়দুল কাদের ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন। তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে ঢাকা থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। এক মাস চিকিৎসা শেষে ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুর সময় বেলা তিনটায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
টাইমস/এসআই