কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে বাসে গণধর্ষণের পর খুন হওয়া নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে বহন করা স্বর্ণলতা পরিবহনের সেই বাসের মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ খুঁজে পাওয়া গেছে।
তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪২৭৪) জব্দের পর শনিবার আলামত ও নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট।
কিশোরগঞ্জের সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের একটি দল বাজিতপুর থানায় রাখা বাসটি থেকে আলামত ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান জানান, বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার লালন মিয়া রিমান্ডে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে বাসটিতে চালক নূরু ও হেলপার লালন মিয়া ছাড়াও বোরহান নামে আরেকজন ছিলেন। বোরহান নূরুর খালাতো ভাই এবং বাসটির আরেক হেলপার। তার বাড়িও গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।
বোরহানকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মো. সারোয়ার জাহান।
গত ৬ মে রাতে কটিয়াদী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের শাহিনূর আক্তার তানিয়া ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বাসে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মো. গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে বাসের ড্রাইভার-হেলপারসহ মোট চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা করেন। বর্তমানে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি রিমান্ডে রয়েছে।
টাইমস/জেডটি