ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এতে নারীসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ৬০ থেকে ৭০ জন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর সন্ধ্যায় তারা মিছিল নিয়ে মধুর ক্যানটিনে যান সংবাদ সম্মেলন করতে।
তারা যে টেবিলে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেন, তার পাশের টেবিলে অবস্থান নেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী নেতাকর্মীরা। সেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পদবঞ্চিতরা সংবাদ সম্মেলন শুরু করার একপর্যায়ে একজন গিয়ে তাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ডাকসুর কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিথী আকতার এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয়।
কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা এগিয়ে গেলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলন করতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর অন্য পক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। গত কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা রাকিব হোসেন, সাইফ বাবুসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়।
হামলার ঘটনায় বিথী আক্তার, তিলোত্তমা শিকদার (নতুন কমিটির উপসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক), ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমদসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।
পদবঞ্চিতদের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, ছাত্রলীগের জন্য সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করেছি৷ কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমাদের বাদ দিয়ে অছাত্র, বিবাহিত ও বিতর্কিতদের নিয়ে ‘পকেট কমিটি’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি, এই বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত করে প্রকৃত ছাত্রলীগকর্মীদের যেন পদায়ন করা হয়৷
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন নিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চারজন নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এ কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত কমিটির অসহযোগিতার কারণে কমিটি দিতে দেরি হয়েছে। এখন যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তারা গত কমিটির নিজস্ব লোক (মাই ম্যান)। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি।
টাইমস/জেডটি