নারায়ণগঞ্জের কালীর বাজারের ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক প্রবীর চন্দ্র ঘোষক গত বছরের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন। ২১ দিন পর তার বন্ধু পিন্টু দেবনাথের দেয়া তথ্যে শহরের আমলাপাড়ায় এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়।
এক বছর আগের আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান ঘোষণা করেছেন।
কালীর বাজারের পিন্টু শিল্পালয়ের মালিক পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিককে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে।
তবে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালত খালাস দিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ জুন রাতে প্রবীর নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখঁজির পরও প্রবীরের কোনো হদিস না মেলায় তার বাবা ভোলানাথ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
নিখোঁজের তিন দিন পর প্রবীরের মোবাইল ফোন থেকে তার ছোট ভাই বিপ্লব চন্দ্র ঘোষকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু পরে ওই ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সন্দেহভাজন হিসেবে পিন্টু ও বাপেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ব্যবসায়িক লেনদেনে বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
পিন্টু দেবনাথের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পর শহরের আমলাপাড়ায় তার বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে তিনটি বস্তায় প্রবীরের পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। আর তার পরদিন আমলাপাড়া কেসি রোড এলাকার নর্দমায় পাওয়া যায় প্রবীরের দুটি পা।
টাইমস/এসআই