সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে আট ধরনের বিষয়কে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে প্রশ্ন করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষককে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিতর্কিত বিষয়গুলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নকালে উদ্দীপকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এতে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে।”
২০০৯ সালের ২২ নভেম্বরের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের নির্দেশনা অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষক যেন সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করেন সে বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে মানা
- পাঠ্যপুস্তকে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম না থাকলে প্রশ্নে উদ্দীপক হিসেবে রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করা যাবে না।
- বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সরকার, কোনো জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং অঞ্চলকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে কোনো উদ্দীপক ও প্রশ্ন করা যাবে না।
- বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, গোষ্ঠী, ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় অনুষ্ঠানকে অমর্যাদা করে কোনো উদ্দীপক ও প্রশ্ন করা যাবে না।
- রাষ্ট্র বা জাতিকে অমর্যাদা করে কোনো উদ্দীপক ও প্রশ্ন করা যাবে না।
- সংবিধান পরিপন্থি ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বিষয় ব্যবহার করে কোনো উদ্দীপক ও প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না।
- ধর্ম, তীর্থস্থান, ধর্মীয় স্থাপনা, রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, ঐতিহাসিক স্থান ইত্যাদিকে অসম্মান করে কোনো উদ্দীপক ও প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না।
- কোনো অশোভনীয় বা আপত্তিকর ছবি কিংবা বিতর্কিত ব্যক্তি ও তার কার্যকলাপ উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
- সরকার এবং সমাজ কর্তৃক অননুমোদিত বা গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলো (যেমন: বাল্য বিবাহ, যৌতুক ইত্যাদি) ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা যাবে না।
টাইমস/জিএস