স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেন আলম মিয়া (৩০) নামে এক যুবক। আলম প্রায়ই ওই নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতো। কিছুদিন আগে ওই নারীর মেয়ে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে। এর মধ্যে মেয়েকে বাড়িতে রেখে ওই নারী অপর দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জে বেড়াতে যান। গত ৫ আগস্ট রাতে দোকান থেকে চা নিয়ে ওই মেয়ের মায়ের প্রেমিক আলম তাকে খেতে দেয়। চা পান করে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ২টার দিকে আলম তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। এই ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মেয়েটি।
পরে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার জানাইয়া এলাকার লম্বা কলোনী থেকে অভিযুক্ত আলমকে আটক করে পুলিশ। আটক আলম মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মুকসেদপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া এলাকার লম্বা কলোনীতে বসবাস করছিলেন।
এদিকে ঘটনার পর ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী মেয়েটি মা বলেন, আলমের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়নি। তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় সে প্রায়ই আমার ঘরে আসতো। আর এই সুযোগে সে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।
আলমকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আলমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
টাইমস/এইচইউ