ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের নার্স শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়াকে(২৫) কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আল মামুনের আদালতে এ মামলার ৩১২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেন। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন এবং এজাহারের বাইরের ছয়জন আসামি আছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ৯ আসামি হচ্ছেন- স্বর্ণলতা পরিবহন বাসের চালক নূরুজ্জামান নূরু, চালকের সহযোগী লালন মিয়া, চালকের খালাতো ভাই বোরহান উদ্দিন, কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম ও খোকন মিয়া, টিকিট বিক্রেতা বকুল মিয়া ও আল আমিন, বাসমালিক মো. আল মামুন এবং স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি পারভেজ সরকার। তাদের মধ্যে শাহিনুরকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বোরহান উদ্দিন, স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি পারভেজ সরকার ও টিকিট বিক্রেতা আল আমিন এখনো পলাতক আছেন। বাকি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে বাসচালক নূরুজ্জামান, চালকের সহযোগী লালন মিয়া ও কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুরগামী স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসে নিজ বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন শাহিনুর আক্তার। বাসটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। পরে কটিয়াদী থেকে পিরিজপুরে যাওয়ার পথে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড় গজারিয়া জামতলী এলাকায় চলন্ত বাসে চালক নুরুজ্জাামান, চালকের সহযোগী লালন মিয়া ও চালকের খালাতো ভাই বোরহান উদ্দিন তাকে ধর্ষণের পর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। মুমূর্ষু অবস্থায় শাহিনুরকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তে শাহিনুরকে গণধর্ষণের পর হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
টাইমস/এসআই