মিয়ানমারে গিয়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারে গিয়ে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব তারা যেন মিয়ানমারে যায়। এজন্য একটি কমিশন গঠন করা যেতে পারে। কমিশন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং অন্যান্য সবার এখন কাজ হচ্ছে মিয়ানমার যাওয়া। সেখানে গিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা। আমাদের এখানে তাদের আর কাজ নেই।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে ‘১৫ আগস্ট ও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার যদি তাদের প্রবেশ করতে না দেয়, তাহলে আমি বলব তারা মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে কেন? যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ানমার এখনো জিএসপি সুবিধা পায় কেন? আমি বলব জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছু ভুল করেছে। তবে এখন সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেছি। মানবিক দিক থেকে আমাদের যা যা করার ছিল, সব করেছি। এখন রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব মিয়ানমারের এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া এমনকি ভারতও এখন আমাদের অবস্থানের সঙ্গে একবাক্যে সমর্থন দিচ্ছে।’

মিয়ানমারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বুঝিয়ে দেশে ফেরত নেয়ার দায়িত্ব মিয়ানমারের। তাদের লোকদের মধ্যে আস্থা আনাতে হবে। এই দায়িত্ব মিয়ানমারের, আমাদের না। আমরা অনেক করেছি। নিজেদের এবং এ অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে একই রকমের একটি প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণেই ভেস্তে যায়।

এবার এক হাজার ৩৩ টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হলেও আবারো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিয়ানমারের প্রতি আস্থাহীনতা ও রোহিঙ্গাদের ৫ দফা দাবি।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইউক্রেনের পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখলের দাবি রাশিয়ার Dec 25, 2025
img
নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান : তারেক রহমান Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে রাজনৈতিক শূন্যতা কাটবে : প্রেস সচিব Dec 25, 2025
img
কালিয়াকৈরে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১২ Dec 25, 2025
img
গণ অধিকার পরিষদ নেতাদের পদত্যাগ Dec 25, 2025
img
গণসংবর্ধনাস্থলের খুব কাছাকাছি তারেক রহমান Dec 25, 2025
img
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে মাঠে বসে ছেলের জয় দেখলেন জিদান Dec 25, 2025
img
হাদি হত্যাকাণ্ড : ফয়সালের স্ত্রীসহ আদালতে ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি Dec 25, 2025
img
ছুটিতে মদ্যপান দোষের নয়; আমি নিজেও একই কাজ করেছি: মাইকেল ভন Dec 25, 2025
img
তার মনের নেক আশাগুলো আল্লাহ পূর্ণ করুন : কনকচাঁপা Dec 25, 2025
img
বড়দিনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময় Dec 25, 2025
img
হঠাৎ রেগে গেলেন সুজন, থাকতে চান না নোয়াখালীর কোচের দায়িত্বে Dec 25, 2025
img
২৫ ডিসেম্বরে তারেক রহমানের দেশে ফেরার কারণ জানালো বিএনপি Dec 25, 2025
img
আত্মগোপনে থাকা নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর গুঞ্জন, মুখ খুললেন স্ত্রী Dec 25, 2025
img
ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র নিলেন জামায়াতের আমির Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার পুরোনো ছবি হঠাৎ আলোচনায় Dec 25, 2025
img
সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় খাপ খাওয়া ও যত্ন Dec 25, 2025
তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছে পিরোজপুরের ৩০ হাজার নেতাকর্মী Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে : প্রেস সচিব Dec 25, 2025
img
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ও পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে শান্তের মন্তব্য Dec 25, 2025