রাজধানীর ১১টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু মুক্তের যে ভুল তথ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন দিয়েছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
বুধবার নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে সিঙ্গাপুর সফরের অভিজ্ঞতা প্রকাশ সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে ক্ষমা চান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডিএসসিসির ১১টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুমুক্ত ভুলবশত বলেছিলেন। আসলে শব্দটি হবে লার্ভামুক্ত, যা আমাকে পরবর্তী সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। তাই আমি আমার এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য সবিনয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি- ভুল আমরা করতেও পারি, তবে সেটি স্বীকার করেও নিতে জানি।’
মেয়র বলেন, ‘আমরা আগস্টে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে। আজকে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ চলে এসেছে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যে একেবারে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে বিষয়টি এমন নয়। তবে ঢাকায় এর প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে, কিন্তু সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ এখনও রয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রিত অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, নির্মূল এবং এর স্থায়ী সমাধানের জন্য ডিএসসিসি একটি প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের বিদ্যমান জনবল কাঠামোকে সংশোধন করার মধ্য দিয়ে কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট নামে একটি ডিপার্টমেন্ট তৈরি করতে চাই। যে ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে আমাদের গৃহীত প্রকল্প ও আমাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি।
সিঙ্গাপুর সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে ডিএসসিসি সিঙ্গাপুর সরকারের মিনিস্ট্রি অব এনভায়রনমেন্ট, মিনিস্ট্রি অব হেলথ এবং হেলথ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমরা সর্বসম্মতিক্রমে একমত হয়েছি। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার পর আমাদের মধ্যে একটি স্থায়ী সম্পর্ক হবে উল্লেখ করেন মেয়র।
সাঈদ খোকন বলেন, 'সমঝোতার মধ্য দিয়ে এ বছর যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, আগামী বছর থেকে আমরা আমাদের নাগরিকদের যাতে রক্ষা করতে পারি, সেই প্রচেষ্টা নেয়া হচ্ছে।'
টাইমস/এসআই