ঢাকা যখন মিছিলের নগরী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসবকে কেন্দ্র করে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল রাজধানী ঢাকা। আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই বিভিন্নপ্রান্ত থেকে রঙ বেরঙের পোশাক পড়ে অনুষ্ঠান স্থলে মিছিলসহ আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। কেই কেউ নৌকায় চড়ে, আবার কেউ কেউ ট্রাক-বাসে ছড়ে, আবার কেউ কেউ হাতি-ঘোড়ায় চড়ে বিজয় উৎসবে অংশ নিতে দেখা গেছে।

৩০ ডিসেম্বর দেশে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসনে জয় লাভ করে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে। তবে ওই বিজয়ের পর দেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করতে মানা করেছিলেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তাই ভোটের ১৯ দিন পর বিজয় উৎসব পালন করছে দলছি। সেই লক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকার থানা ও ওয়ার্ডের বাইরেও রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে আসতে থাকেন।

তবে সকালে দিকে নেতাকর্মীদের উপস্থিত কম থাকলে দুপুর থেকে ঢাকা হয়ে উঠে মিছিলের নগরী। রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, বনানী, মালিবাগ, মগবাজার, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর, আজিমপুর, কলাবাগান, গুলিস্তানসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। পরে সেই এলাকাগুলো থেকে মিছিল সহকারে তারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের। এছাড়াও ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়িতে করে দলীয় নেতাকর্মীরা গানে গানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা স্মরণ করতে দেখা গেছে।

এদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা লাল-সবুজ টি শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে হেঁটে বা পিকআপভ্যান, ট্রাক ও বাসযোগে বিভিন্ন সড়ক ধরে উদ্যানে উপস্থিত হন। এ সময় সবার মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সঙ্গে ঢাক-ঢোলের বাদ্যে পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল।

এদিকে বিজয় উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাটানো হয়েছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিলবোর্ড, ব্যানার ও পেস্টুন।

 

টাইমস/ কেআরএস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img

বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা

বাহরাইন প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন Nov 16, 2025
img
ভোটারদের কেন্দ্রে আনা ও নিরাপদ নির্বাচনি পরিবেশের জন্য দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ: সিইসি Nov 16, 2025
img
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে সবুজায়ন করবে ডিএনসিসি Nov 16, 2025
img
১৫০ কিমি গতিতে বোলিং করতে পারি: শাহীন আফ্রিদি Nov 16, 2025
img
বাংলাদেশ এক পা এগোলে, পাকিস্তান দুই পা এগিয়ে আসবে: মাওলানা ফজলুর Nov 16, 2025
img
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে সময় লাগবে ২০ বছর! Nov 16, 2025
img
যারা একসময় মজলুম ছিল, তারা এখন জালিম সাজছে: তথ্য উপদেষ্টা Nov 16, 2025
img
মিঠুনদা আমার বাবার মতো: দেব Nov 16, 2025
img
নিজের প্রতি বিশ্বাসই শাহরুখকে কিং করেছে: শিল্পা শেট্টি Nov 16, 2025
img
ইরান ভয়াবহ সংকটে, মসজিদে দোয়া Nov 16, 2025
img
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণে পথচারী আহত Nov 16, 2025
img
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি Nov 16, 2025
img
বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ: সেলিমা রহমান Nov 16, 2025
img

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬টি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু Nov 16, 2025
img

মো. ফখরুল ইসলাম

‘তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নোয়াখালী হবে সিঙ্গাপুর’ Nov 16, 2025
img
সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে মধ্যরাতে আগুন Nov 16, 2025
img
স্কুলের গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন আমরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসি: সোনাক্ষী সিনহা Nov 16, 2025
img
ক্ষমার মধ্যেই অনেক বড় শক্তি আছে: আমির খান Nov 16, 2025
img
এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ Nov 16, 2025
img
দাদুর জীবনীতে অনুপ্রেরণা পেলেন শন ব্যানার্জি Nov 16, 2025