বড় ভাই সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত, কী বার্তা পেলেন কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আলোচিত আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আপন ছোট ভাই। তাই বড় ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে কাদের মির্জার কী কথা হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নতুন মেয়র মির্জা কাদের। তবে একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, এই সাক্ষাৎ শুধুই সৌজন্যতার।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাক্ষাতের সময় কাদের মির্জার সঙ্গে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান আবদুল কাদের মির্জা।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাদের মির্জা বলেন, দলীয় হাইকমান্ড আমাকে ঢাকার সংবাদ সম্মেলন ও নোয়াখালীতে ডাকা রোববারের হরতাল বাতিল করতে বলেছেন। আমি তাই হাইকমান্ডের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ঢাকায় আগামী মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলন ও রোববারের হরতাল প্রত্যাহার করেছি। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিলাম।

আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, দলীয় হাইকমান্ড থেকে আমাদের দাবি মোতাবেক যদি আগামী এক মাসের মধ্যে নোয়াখালীতে অপরাজনীতি বন্ধ করার লক্ষ্যে একরামুল কমির চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা না হয়, যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি পুনর্গঠিত করা না হয় এবং টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলা না হয়, তাহলে নোয়াখালীতে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হন। দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাদের মির্জার একাধিক বক্তব্য ভাইরাল হয়।

এছাড়া নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘রাজাকার পরিবারের লোক’ বলে কটূক্তি করার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন করেন কাদের মির্জা।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: