বর্তমানে ছদ্মবেশে আবারও বাকশাল গড়ে তোলা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এই আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসে আওয়ামী লীগ আবারও নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। একইসঙ্গে তারা ছদ্মবেশে একটি বাকশাল গঠন করেছে। আজ তাই স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে ভূলুণ্ঠিত। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার মানে জনগণের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা। কিন্তু আমরা স্বাধীনভাবে কি বাঁচতে পারছি? এই জালেম সরকার মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারছে। তারা বলছে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সেটা বিশ্বের রোল মডেল। উন্নয়ন হয়েছে কথায় আর দুর্নীতির। যে উন্নয়নের মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী থেকে আরও ধনী হয়েছে। তাই জনগণের মুক্তির জন্য এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি মানবিক, সাংবিধানিক ও মৌলিক সব অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকার স্বাধীনতাকে বিকৃত করে জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছে। সারা বিশ্ব জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মানলেও সরকার মানছে না। তাই এই সরকার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাচ্ছে। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিমানবন্দর বা জাদুঘর থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেললেও জনগণের হৃদয় থেকে সেটা মুছে ফেলা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, এই সরকারের মন্ত্রিসভাও অস্বাভাবিক। ডাকসু নির্বাচনে যা হয়েছে, সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল। আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দেশ গণতন্ত্র-শূন্য হয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যরা।
টাইমস/এসআই