লতিফ সিদ্দিকী কারাগারে

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি জমি বিক্রি করে প্রায় ৪১ লাখ টাকা ক্ষতি করাসংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালত বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয়।

দুদকের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। এই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন বলে জানান দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সরকারি সব নির্দেশনা মেনেই জমি বিক্রির সুপারিশ করেছেন উল্লেখ করে আসামির আইনজীবী হেলালুর রহমান বলেন, আইনগত সব ধাপও তিনি মেনে চলেছেন। আজ তাকে বেআইনিভাবে কারাগারে নেয়া হলো।

এ মামলায় এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপর আসামি হলেন জমির ক্রেতা জাহানারা রশিদ। তিনি জামিনে আছেন। মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।

২০১২ সালের ২৭ মে ‘কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি ২৪ লাখে বিক্রি!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষাপটে দুদক তদন্ত শুরু করে।

সংবাদ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আদমদীঘিতে বিলুপ্ত একটি পাট ক্রয়কেন্দ্রের (রানীনগর পাট ক্রয়কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত) সম্পত্তি দরপত্র ছাড়াই গোপনে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেয়া হয়। পাট ক্রয়কেন্দ্রের প্রায় আড়াই একর জমিসহ স্থাপনা ও যন্ত্রপাতির বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। কিন্তু সরকারি ওই সম্পত্তি ২৪ লাখ টাকায় বগুড়া শহরের জাহানারা রশিদের কাছে বিক্রি করা হয়।

আদমদীঘির দরিয়াপুর মৌজার ২ দশমিক ৩৮ একর জমির ওপর কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। এটি নওগাঁর রানীনগর উপজেলা সদরের পাশে অবস্থিত। কয়েক বছর ধরে ওই কেন্দ্রে পাট কেনা বন্ধ আছে। ওই জমির ওপর ৬ হাজার ৯৫৪ বর্গফুটের তিনটি টিনের গুদামঘর আছে। রয়েছে ১ হাজার ২০০ বর্গফুটের বারান্দা, ১ হাজার ৫৫০ বর্গফুটের ইটের তৈরি একটি দালান, হস্তচালিত একটি জুটপ্রেসার, চেয়ার, লোহার সিন্দুকসহ নানা ধরনের আসবাব ও শতাধিক মূল্যবান গাছ রয়েছে বলে আদমদীঘি ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কিয়ারার ‘টক্সিক’-এর লুক দেখে মুগ্ধ সিদ্ধার্থ Dec 24, 2025
img
ক্যাটরিনা ‘গৃহবন্দি’ পুত্রসন্তানের আগমনে বদলেছে কৌশল দম্পতির রুটিন Dec 24, 2025
img
রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণে প্রাণ গেল যুবকের Dec 24, 2025
img
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে দুর্নীতি কমানো যাবে না : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Dec 24, 2025
img
চট্টগ্রামে রাতে আটক যুবলীগ নেতা, পরদিনই জামিন! Dec 24, 2025
img
‘ধূলিসাৎ হবে ধুরন্ধর’, ধ্রুব রাঠির চ্যালেঞ্জের মুখে পরিচালক আদিত্য ধর Dec 24, 2025
img
পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় আজও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ Dec 24, 2025
img
‘কালী পটকা’-তে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের টানা বস্তিতে শুটিং, ওয়েব সিরিজে নতুন চ্যালেঞ্জ Dec 24, 2025
img
বাংলাদেশকে বিজেপি নেতার হুমকি Dec 24, 2025
img
বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে যশোর-৫ আসনে বিক্ষোভ Dec 24, 2025
img
বিয়ের আগে সানাকে ‘বোন’ বলতেন স্বামী মুফতি সৈয়দ আনাস! Dec 24, 2025
img
বড়দিন উপলক্ষ্যে ধর্মীয় নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় Dec 24, 2025
img
ফেনীর জামাতা হলেন ডাকসু জিএস ফরহাদ Dec 24, 2025
img
‘জুটি বাঁধতে গেলে নায়ক-নায়িকার প্রেম থাকতেই হবে’? ইশার সঙ্গে পর্দাভাগ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল Dec 24, 2025
img

২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার কোটি টাকা বাড়াল সরকার Dec 24, 2025
img
আক্রমণভাগ শক্ত করতে ঘানার স্ট্রাইকার সিটিতে! Dec 24, 2025
img
আসর শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের অর্ধেক পারিশ্রমিক দিল রংপুর রাইডার্স Dec 24, 2025
img
সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরের ৩ বছর আগে নির্বাচন করতে পারবেন না: হাইকোর্ট Dec 24, 2025
img
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য জরুরি নির্দেশনা Dec 24, 2025
img
জানা গেল পলাশ-ইভানার রাজকীয় লুকের রহস্য Dec 24, 2025