জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিন বার ফোন পেয়েও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি)-কে না জানানোয় দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নক্ষত্র সাকিব আল হাসানকে। তবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় তার সাজা এক বছরের জন্য কমিয়েছে আইসিসি।
মঙ্গলবার আইসিসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাকিব বাংলাদেশের টেস্ট ও টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) নিয়ম অনুযায়ী, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও যদি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের বোর্ড কিংবা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানানো হয়, তাহলে সে অপরাধে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।
এক বছর শেষে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর পুনরায় সবধরনের ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। জাতীয় দলের নিয়মিত এ তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়াই আগামী ৩৬৫ দিন কাটাতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। এই সময়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ মিস করতে যাচ্ছেন সাকিব। আগামী এক বছরে যেসব সিরিজ মিস করবেন সাকিব-
১. ভারত সফর: নভেম্বর, ২০১৯
২. পাকিস্তান সফর: জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (সম্ভাব্য)
৩. অস্ট্রেলিয়া সিরিজ: ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (পরিবর্তিত সূচিতে এটি হবে জুন মাসে)
৪. জিম্বাবুয়ে সিরিজ: মার্চ, ২০২০
৫. আয়ারল্যান্ড সফর: মে-জুন, ২০২০
৬. শ্রীলঙ্কা সফর: জুলাই-আগস্ট, ২০২০
৭. নিউজিল্যান্ড সিরিজ: আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২০
৮. নিউজিল্যান্ড সফর: অক্টোবর, ২০২০
৯. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: অক্টোবর, ২০২০
২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে সাকিবের সামনে।
টাইমস/এইচইউ