কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানাতে সীমান্তে যাবেন আফ্রিদি-মিয়াঁদাদ

কাশ্মিরীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে শিগগিরই লাইন অব কন্ট্রোল (পাকিস্তান ও ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা) সফরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এ ঘোষণা দেন।

জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের স্বায়ত্ত্বশাসন বাতিল করে ভারতের চালানো আ্গ্রাসনের জবাবে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, তিনি কাশ্মিরী ভাইদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করবেন।

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মিরী জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে ‘ত্রিশ-মিনিট’ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন। যা প্রতি সপ্তাহে পালিত হবে।

এছাড়াও আফ্রিদি শুক্রবার দুপুর ১২ টায় করাচির ‘মাজার-ই-কায়েদ’ (পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মাজার)- এ থাকারও ঘোষণা দেন।

কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি প্রকাশে পাকিস্তানের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার।

তিনি বলেন, ‘আমি থাকব ‘মাজার-ই-কায়েদে’ আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের প্রতি সংহতি জানাতে আমার সঙ্গে যোগ দিন। ৬ সেপ্টেম্বর আমি একজন শহীদের বাড়ি পরিদর্শন করব। আমি খুব শিগগিরই লাইন অব কন্ট্রোলও সফর করব।'

এর আগেও ৩৭০ ধারা বাতিল ও কাশ্মীরিদের প্রতি ভারতের দমন নীতির কঠোর সমালোচনা করেন শহীদ আফ্রিদি। এমনকী কাশ্মিরী জনগণকে তাদের ন্যয্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এ পাক ক্রিকেটার।

এছাড়া পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদও কাশ্মিরীদের প্রতি সংহতি জানাতে লাইন অব কন্ট্রোল সফর করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার সফরে অন্য খেলোয়ারদেরও যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। লাইন অব কন্ট্রোলে তারা শান্তির পতাকা ওড়াতে চান বলেও ঘোষণা দেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।

জাভেদ মিয়াঁদাদ ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি সীমান্তে যাব শান্তির জন্য। আমি পাকিস্তানের উচ্চ বর্গীয়সহ খেলোয়ার সর্বোপরি সকল জনতার উদ্দেশে এ বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। আমি সেখানে যাব এবং সবাইকে শান্তির কথা বলব। আমি সেখানে একটি শান্তির পতাকা নিয়ে যাব। এরপরও যদি সেখানে হানাহানি বন্ধ না হয় তবে আমি দুই দেশের সীমান্তে যাব। সেখানে আমার সঙ্গে যে কেউ চাইলে যেতে পারবেন। সেখানে যাওয়ার পর আমি জনতাকে বলব আমরা শান্তি চাই। এবং আমরা কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে।'

 

টাইমস/এমএস/এসআই

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 19, 2025
img
তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি Oct 19, 2025
img
জুলাইয়ের চেতনার কথা বলে ওরা দেশটাকে সংকটের মুখে ফেলেছে : নুর Oct 19, 2025
img
বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার প্রস্তাব Oct 19, 2025
img
পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ উত্তর কোরীয় সেনার Oct 19, 2025
img
অস্কারের দৌড়ে ‘হোমবাউন্ড’, উচ্ছ্বসিত ইশান খট্টর Oct 19, 2025
মিরপুরে সিনেমা স্টাইলে ডাকাতি! ১০০ ভরি স্বর্ণ ও ৩২ লাখ টাকা লুট Oct 19, 2025
img
এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করতে রিট Oct 19, 2025
ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যা করবে ডাকসু, জানালেন জিএস ফরহাদ Oct 19, 2025
শিশুর নাম রাখার ক্ষেত্রে নবীজির নির্দেশনা | ইসলামিক জ্ঞান Oct 19, 2025
img
গুলশানে প্লট দখলের মামলায় সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পেছাল Oct 19, 2025
img
ব্যথা ভুলে ফ্লোরে দিতিপ্রিয়া, বন্ধুর মতো পাশে জীতু Oct 19, 2025
img
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার মতো কোনো শক্তি নেই : ফারুক Oct 19, 2025
img
অনেক দিন রান না পেলে মনে সন্দেহ ঢুকে পড়ে: ল্যাবুশেন Oct 19, 2025
img
অক্টোবরের ১৮ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার Oct 19, 2025
গ্রহণযোগ্যতা কমছে বাংলাদেশি পাসপোর্টের Oct 19, 2025
img
ধর্ম অবমাননা মামলায় নর্থ সাউথ শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের স্বীকারোক্তি Oct 19, 2025
img
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে টহল ও নজরদারি জোরদার Oct 19, 2025
img
গাজা যুদ্ধের নাম 'মুক্তিযুদ্ধ' করার প্রস্তাব নেতানিয়াহুর Oct 19, 2025
img
পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Oct 19, 2025