একটি নোটিশের ব্যাপারেও জানেন না সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্যরা!

সামনে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। একে ঘিরে এরই মধ্যে শোরগোল চলছে বিএফডিসিতে। পক্ষ-বিপক্ষ দল একে-অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনছেন। তবে এই নির্বাচনকে ঘিরে একটি অভিযোগ আসছে চতুর্দিক থেকে। সেটি হলো, নির্বাচনের আগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেকের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর নির্বাচন বন্ধের দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) অভিনেতা মো. সোহেল খান ও মোহাম্মদ হোসাইন লিটনের পক্ষে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এই নোটিশ পাঠান বলে জানা গেছে।

নোটিশে বলা হয়, অনেকেই শিল্পী সমিতির সাবেক সদস্য হলেও পরে তাদেরকে অনৈতিকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে কিছু শিল্পীদের ভোটার তালিকায় জায়গা করে দেয়া-সহ ৯টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সেই নোটিশে। শুধু তাই নয়, নির্বাচন স্থগিত করে জরুরী ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ করা হয় এতে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এটি পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

এদিকে এই নোটিশ কেন, এর আগে ৩ অক্টোবর ফাইট ডিরেক্টর মো. শেখ শামীমের পাঠানো নোটিশও এখনো পাননি বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি, নির্বাচন স্থগিত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ রকম কোনো কিছুই পাইনি। আর যতক্ষণ এই ধরণের নোটিশ হাতে পাবো না, ততক্ষণ এই নিয়ে কিছুই বলতে পারছি না।

তবে সম্প্রতি পাঠানো নোটিশে সময় দেয়া হয়েছে তিনদিন। আগামীকাল ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই সময় বেধে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন আইনজীবী সাইফুর রহমান।

এদিকে নোটিশ পেয়েছেন কিনা জানতে প্রধান নির্বাচন কমিশন ইলিয়াস কাঞ্চনকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: