দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রসহ একনেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ৫ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) চার হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ের পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে যাবে এক হাজার ৪৭৬ কোটি চার লাখ টাকা। বাকি তিন হাজার ১৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা খরচ করা হবে বৈদেশিক সহায়তা থেকে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

অনুমদিত প্রকল্পগুলো হলো- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বহুমুখী ‍দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন) (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প; ‘দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৭৮৯) উন্নয়ন প্রকল্প এবং ‘চাষাঢ়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদনাইল-আদমজী ইপিজেড মহাসড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের পঞ্চম দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া চাষাড়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদানাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

তিনি জানান, অনুমোদিত প্রকল্পের সাইক্লোন সেন্টারগুলো স্কুলসহ বহুমুখী ব্যবহার করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী সব সাইক্লোন সেন্টারের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে সংযোগ সড়ক তৈরি করতে বলেছেন। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা ও বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য স্থায়ী রিজারভার এবং মাল্টি পারপাস সেন্টার রুম নির্মাণ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।

সৌদি আরবে চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চ্যান্সারিতে প্রবাসীরা যাতে ভদ্র, স্বস্তিদায়ক বসার জায়গা এবং পানিসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা পান, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া কাজ শেষ করতে অহেতুক বারবার যেন প্রতিনিধি দল বিদেশে যেতে না হয় সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে বলেছেন তিনি।’

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: