মিষ্টি আলুর যত গুণ

খেতে মিষ্টি বলে নাম হয়েছে মিষ্টি আলু। এই আলু পটাসিয়ামে পরিপূর্ণ, ফলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য খুব উপকারী। কারণ এতে থাকা পটাসিয়াম রক্তে সোডিয়ামের প্রভাব হ্রাস করে। মিষ্টি আলু খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ এবং একইসঙ্গে এটি ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই বিশেষ শ্রেণীর আলুটি আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

চলুন জেনে নিই আমাদের অতি পরিচিত মিষ্টি আলুর ১২টি গুণাগুণ সম্পর্কে-

১. মিষ্টি আলু নিঃসন্দেহে একটি সুপার ফুড এবং সব থেকে বড় কথা হচ্ছে দেশের সর্বত্র এটি অপেক্ষাকৃত সস্তা ও সহজ লভ্য। লাইফস্টাইল কোচ লুকা কাউন্টিনহো বলেন, যদি এটি আপনার পক্ষে সহনীয় হয় তাহলে খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু থাকা উচিৎ।

২. মিষ্টি আলুতে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। অ্যান্থোসায়ানিন একটি প্রাকৃতিক রজক। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ডিনএনএ রক্ষা প্রভৃতিতে খুবই কার্যকর।

৩. খাদ্যআশেঁ পরিপূর্ণ মিষ্টি আলু অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের জন্য ভালো। এটি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সক্ষম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো করে।

৪. মিষ্টি আলু পটাসিয়ামে পরিপূর্ণ। ফলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য এটি ওষুধের মতো কাজ করে। কারণ আমরা জানি যে পটাসিয়াম সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য রক্তে অতিরিক্ত সোডিয়াম খুবই ক্ষতিকর।

৫. পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হৃদযন্ত্রের প্রতি বন্ধু সুলভ।

৬. এই কন্দটি ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি৫ ও বি৭ এর সমৃদ্ধ উৎস।

৭. এটি আপনার এসিডিটি, হজমে সমস্যা প্রভৃতি দূর করবে।

৮. মিষ্টি আলু আরোগ্যকারী খাদ্য হিসেবে পরিচিত। লুক বলেন, অ্যাথলেটরা প্রায়ই শরীরচর্চার আগে ও পরে মিষ্টি আলু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, এমনকি এটি তাদের মূল খাদ্য তালিকাতেও থাকে।

৯. মিষ্টি আলু ওজন হ্রাসকারী খাদ্য হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি ওয়ার্ক আউটের পূর্বে একটি উত্তম স্ন্যাক হতে পারে।

১০. মিষ্টি আলু, ভিটামিন-এ তে পরিপূর্ণ, যা আপনার চোখের জন্য খুবই উপকারী।

১১. যেসব নারীদের গর্ভধারণ সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, মিষ্টি আলু খাদ্য তালিকায় থাকলে তারা উপকৃত হতে পারেন।

১২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসাইনানিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ