উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে জিপি এক্সেলারেটরের ষষ্ঠ ব্যাচের উদ্বোধন করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।
বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
গ্রামীণফোনের বিভিন্ন রিসোর্স এবং সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে নতুন স্টার্টাপগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রায় চারমাস ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উদ্যোক্তা তৈরি করার সুনির্দিষ্ট কোনো কারিকুলাম নেই। জাতিগতভাবে আমরা ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত। আমাদের কাজ হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেওয়া। তারা যদি কোনো কিছুতে ব্যর্থ হয়, তবুও তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া।
দেশে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মধ্যম আয়ের গ্রাহক শ্রেণি আছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন। এদের মাধ্যমে স্ট্যার্টআপদের কাজের সুযোগ রয়েছে- বলেন প্রতিমন্ত্রী।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ের ডেভেলপার, উদ্ভাবক এবং স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এক্সেলেটর প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকি।
এবারের আয়োজনে প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার ২০০ আবেদন পায় গ্রামীনফোন। বিভিন্ন দফায় বাছাই শেষে তাদের মধ্যে থেকে শীর্ষ নয়টি দল নিয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে জিপি এক্সেলারেটর ৬।
বরাবরের মতো এবারের আয়োজনেও টার্মশিট, ভ্যালুয়েশন, ফিন্যান্সিয়াল মডেলিং, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে গ্রামীণফোনের থেকে প্রশিক্ষণ পাবে স্টার্টআপগুলো।
আয়োজনের শেষ পর্যায়ে স্টার্টাআপগুলোর ব্যবসার সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রামীণফোনের দাবি এসব সহায়তা আর্থিক বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সমান।
টাইমস/এএইচ/এসআই