চট্টগ্রাম অঞ্চলে সেরা করদাতার সম্মাননা পেলেন ৩৮ জন

চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন পর্যায়ে সেরা করদাতা হিসেবে ৩৮ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়কর বিভাগ চট্টগ্রাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে চার ক্যাটাগরিতে ৩৮ জনকে সম্মাননা দেয়া হয়। ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে- দীর্ঘ মেয়াদে করদাতা, এক বছরে সর্বোচ্চ করদাতা, সর্বোচ্চ করদাতা নারী এবং ৪০ বছরের কম তরুণ করদাতা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ করদাতার সম্মান পেয়েছেন তিনভাই সদরউদ্দিন খান, আবু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন খান ও সালাহউদ্দিন কাসেম খান। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন ওই পরিবারেরই সদস্য শামিম হাসান।

নগরীতে দীর্ঘ মেয়াদে করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন এ বিএম এ বাসেত ও আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী। তরুণ করদাতা হিসেবে পেয়েছেন মো. শাহাদাত হোসাইন।

জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা পর্যায়ে যথাক্রমে মো. লোকমান, মোহাম্মদ সেলিম ও শেখ নবী, মহিলা হিসেবে জান্নাতুল মাওয়া, তরুণ পুরুষ করদাতা হিসেবে জাহেদ চৌধুরী এবং দীর্ঘমেয়াদে মো. হাজী মুছা ও কামাল উল্লাহ সম্মাননা পেয়েছেন।

রাঙামাটি জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে লোকমান হোসেন, রফিকুল আলম ও বদিউল আলম, নারী করদাতা চিত্রা চাকমা, তরুণ করদাতা তোফাজ্জল হোসেন এবং দীর্ঘমেয়াদে আসাদুজ্জামান মহসিন সম্মাননা পেয়েছেন।

সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে বান্দরবান জেলার মোহাম্মদ নুরুল আবছার, আবদুস শুক্কুর ও অমল কান্তি দাশ এবং নারী হিসেবে মে হ্লা প্রুকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, মো. নুর আলম ও মোসাম্মৎ পরিদা আক্তার, নারী করদাতা সুপর্ণা পাল, তরুণ করদাতা শওকত বাহার এবং দীর্ঘমেয়াদে করদাতা হিসেবে শহীদুল ইসলাম ভুইয়া ও মো. শানে আলমকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

এছাড়া সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে কক্সবাজার জেলায় আতিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু কাউসার ও মোহা. আলমগীর, নারী করদাতা কামরুন নাহার, তরুণ করদাতা সাজ্জাদুল করিম এবং দীর্ঘমেয়াদে হাবিবুল ইসলাম এবং রফিকুল হুদা চৌধুরী সম্মাননা পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় যেখানে তিনগুণ বেড়েছে, জিডিপি ৪ গুণ বেড়েছে। সেখানে করদাতার সংখ্যা মাত্র দ্বিগুণ বেড়েছে। আমি মনে করি দেশের ১ কোটি মানুষ কর দিতে সক্ষম। কর দেওয়াকে দায়িত্ব মনে করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু জমি কম, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। কৃষি জমি কমছে। তারপরও দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা মিঠাপানির মাছ ও সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম।

তিনি বলেন, জিডিপিতে করের অবদান ১০ শতাংশ, যা নেপালের চেয়ে কম। করদাতা সম্মাননা মানুষকে কর দিতে উৎসাহিত করছে। এটি উপজেলা পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে, ছড়িয়ে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ গড়তে হবে।

কর কমিশনার আবুল কালাম কায়কোবাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাটের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক, কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের কমিশনার আবু দাউদ, কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার হেলাল উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: