চিড়িয়াখানা কেবল পশু দেখার জন্যই ছিল না, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে জাতির সম্মান, আনন্দ ও বৈজ্ঞানিক কৌতূহল। চিড়িয়াখানার গোড়াপত্তনের কথা বলতে গেলে প্রথমে মিসরীয়দের কথাই বলতে হয়।
২৮৫-২৪৬ খৃষ্টপূর্ব মিসরের তৎকালীন সম্রাট টলেমি সে দেশের রাজধানী আলেকজান্দ্রিয়ায় প্রথম একটি চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চিড়িয়াখানাটি ছিলো আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত মিউজিয়ামের পাশেই।
এ চিড়িয়াখানায় সংগৃহীত প্রাণীদের সংখ্যা বর্তমানের কোনো চিড়িয়াখানার চেয়ে কম ছিলো না। সংগৃহীত প্রাণীকুলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো- ৪৫ ফুট দীর্ঘ অজগর, হরেক প্রজাতির বিড়াল, চিতা, জিরাফ, গণ্ডার, শ্বেতভল্লুক, ভারত ও আফ্রিকার বনমহিষ, ময়ূর, টিয়াসহ নানা প্রজাতির পাখি।
সূত্র মতে, সম্রাট টলেমি প্রাণীদের ব্যাপারে খুবই কৌতূহলী ছিলেন। টলেমির মৃত্যুর পর ছেলে সম্রাট দ্বিতীয় টলেমি এই চিড়িয়াখানাকে আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন। তিনি নানান জাতের নানান ধরনের প্রাণী সংগ্রহ করিয়েছিলেন।
টাইমস/জিএস