পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে মঙ্গলবার এক জঙ্গি হামলায় ৩১ জন নারীসহ ৩৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৭ সেনা ও ৮০ জঙ্গি।
উত্তরাঞ্চলীয় সউম প্রদেশের একটি শহর ও সামরিক ফাঁড়িতে মঙ্গলবার সকালে এ হামলা হয়। গত পাঁচ বছর ধরে যে সহিংসতা চলছে তার মধ্যে মঙ্গলবারের হামলাটিকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের একটি সামরিক ঘাঁটি ও সইম প্রদেশের আরবিন্দা শহরে জঙ্গিরা দুটি হামলা চালালে সাত সেনা নিহত হয়েছেন। পরে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা চালালে ৮০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কয়েকঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে সেনারা জঙ্গিদের প্রতিহত করেছে এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ও মটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রক মার্ক কাবোরে হামলা নিয়ে বলেছেন, আমাদের সেনাদের বীরোচিত পদক্ষেপের কারণে ৮০ সন্ত্রাসীকে ব্যর্থ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই বর্বর হামলার কারণে ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিককে প্রাণ দিতে হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।
দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র রেমিস দান্ডিজিনোউ পরে বলেছেন, মঙ্গলবারের ওই হামলায় যে ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩১ জনই নারী। দেশটির প্রেসিডেন্ট বর্বর এই হামলার পর দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। দেশটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও মঙ্গলবারের মতো এতো বেশি প্রাণহানির ঘটনা আগে ঘটেনি।
তবে বুরকিনা ফাসোর ধর্মীয় সহিংসতা ও হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র বিদ্রোহী ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করা হয়।
আফ্রিকার অপর দুই দেশ মালি ও নাইজারের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়ো বুরকিনা ফাসোতে নিয়মিত হামলার ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়মিত এই হামলায় দেশটির শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই বছর দেশটির সাহেল অঞ্চলের গোটাটা জুরে সহিংসতা ও সশস্ত্র হামলার শুরু হয়।
টাইমস/এইচইউ