ঈশ্বরগঞ্জে স্ত্রীকে আট ধর্ষকের হাতে তুলে দিল স্বামী

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বামীর সহযোগিতায় আটজন মিলে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ ঈশ্বরগঞ্জ থানায় স্বামীসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পরে বিকালে অভিযুক্ত স্বামী রতন মিয়া ও আরেক অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার রতন মিয়া (৩০) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের এনায়েতনগর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সদস্য। আর নজরুল ইসলাম সরিষা ইউনিয়নের লংগাইল গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে রতন মিয়ার সঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসের পেছনে বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ খুঁজতে যান ওই গৃহবধূ। কোনো বাসায় কাজ না পেয়ে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার জন্য ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে জাটিয়া ইউনিয়নের শিমুলতলী মোড়ে যায় তারা।

এসময় বাড়িতে না গিয়ে তাকে শিবপুর এলাকায় দরগায় গান শুনতে নিয়ে যায় রতন। গান শুনে রাত ১১টার দিকে তারা হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। স্বামী রতন ওই গৃহবধূকে রাস্তা দিয়ে না গিয়ে ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে নিয়ে যায়। এরপর জাটিয়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। পরে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা আটজনের হাতে তাকে তুলে দেয় রতন। পরে ওই আটজন মিলে রাতভর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।

পরে এ ঘটনায় রোববার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী রতন মিয়া ও আরেক অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী রতন মিয়াসহ নজরুল ইসলাম নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ