বাংলা নাটকের বয়স খুব বেশি নয়। ১৮৫৫ সালে প্রকাশিত বৈদ্য নন্দন কুমারের অভিজ্ঞান শকুন্তলা বাংলা ভাষার প্রথম অভিনীত নাটক হিসেবে গণ্য করা হয়। নাটকটি ১৮৫৭ সালের ৩০ জুন প্রথম অভিনীত হয় শিমলার আশুতোষ দেবের বাড়িতে।
এছাড়া ১৮৫৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত রাম নারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীনকুল-সর্বস্ব’ নাটকটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নাটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের আগে পরে অনেক নাটক রচিত হলেও তাকেই বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাট্যকার বলে গণ্য করা হয়।
রাম নারায়ণ তর্করত্নের রচিত ‘রত্নাবলি’ নাটক ইংরেজিতে অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রচলিত বাংলা নাটকের ঘাটতি কোথায়। ১৮৫৯ সালে তিনি রচনা করেন ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটক। হিন্দু পুরাণের কাহিনী নিয়ে রচিত হলেও এটিকেই বাংলায় প্রথম মৌলিক নাটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপর তিনি একের পর এক রচনা করেন যথাক্রমে ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ নামক পূর্ণাঙ্গ নাটক।
মাইকেল মধুসূদন একই সঙ্গে বাংলায় প্রথম সার্থক মহাকাব্য ও বাংলায় প্রথম সনেট কবিতার রচয়িতা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
টাইমস/জিএস