চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) প্রতিটি ম্যাচ কেন্দ্রিক রমরমা জুয়া চলছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পেশাদার অপেশাদার জুয়াড়িদের জন্য বিপিএলের ক্রিকেট ম্যাচ যেন উন্মুক্ত ক্যাসিনো। হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে চলছে খোলামেলা জুয়া বা বাজি ধরা। বিপিএল শুরুর পর থেকেই এই জুয়া বা বাজি শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব বন্ধে প্রশাসনিক কোনো তৎপরতা না থাকলেও শুক্রবার রাতে কুড়িগ্রামে ৮৯ জন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের হাটে, বাজারে, চায়ের দোকানের টিভিতে বিপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা চলে প্রকাশ্য দিবালোকে। শুধু কুড়িগ্রাম নয়, দেশের প্রতিটি এলাকার চায়ের দোকানগুলোতে বিপিএল নিয়ে জুয়া চলছে।
বিপিএল ক্রিকেটের প্রতিটি খেলায় অপেশাদার ও শখের বসে এক শ্রেণির মানুষ হাতের মুঠোয় টাকা নিয়ে হাঁকিয়ে চলেছেন বাজির ঘোড়া। এই বাজি ধরা হচ্ছে নানাভাবে। আধুনিক জুয়ার আসর ক্যাসিনোর মত আনুষ্ঠানিক মঞ্চ বা আস্তানা না থাকলেও চায়ের টং দোকানই যেন বিপিএল উপলক্ষে জুয়াড়িদের নতুন ক্যাসিনো।
এতদিন এই জুয়া বা বাজি ধরা উন্মুক্তভাবে চললেও এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। খেলা দেখার নামে জুয়াবাজি বন্ধ করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অঘোষিত এই অভিযানে শুক্রবার রাতে কুড়িগ্রাম জেলা সদর, উলিপুর ও নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকান থেকে ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানায়, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজারের চায়ের দোকানগুলোতে কিছুদিন ধরে টিভিতে বিপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলার আসর বসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উলিপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ জেলা সদর, উলিপুর ও নাগেশ্বরী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৮৯ জুয়ারিকে আটক করে।
টাইমস/এসএন/আরএ/এইচইউ