১৫৭০ সালে ইংরেজ গণিতবিদ উইলিয়াম বুয়ার্ন এমন একটি জাহাজের নকশা তৈরি করেন, যা পানির নিচের একবারে তলা পর্যন্ত যেতে এবং প্রয়োজনে পানির উপরে উঠতে সক্ষম।
তিনি নকশায় জাহাজের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য সংকোচ প্রসারণক্ষম বায়ু কক্ষ (Air Chember) সংযোজিত করেন, যাতে করে সাবমেরিনটি ডুবতে এবং প্রয়োজনে ভেসে উঠতে পারে। এর জন্য তিনি নকশায় Ballast tank principle (Ballast হলো জাহাজ স্থির রাখার জন্য জাহাজের খোলে স্থাপিত দ্রব্যাদি) প্রয়োগ করেন।
ডাচ বিজ্ঞানী কোরনেলিয়াস ড্রিবেল ১৬২০ সালে বুয়ার্নের নীতি প্রয়োগ করে বিশ্বের প্রথম সাবমেরিন তৈরি করেন। এটি ইংল্যান্ডের টেমস নদীর কয়েক মিটার গভীর দিয়ে চলতে পেরেছিলো। এটি চালাতে ১২জন নাবিকের প্রয়োজন হতো।
বৈঠা স্থাপনের কাজে জাহাজের যে ছিদ্র থাকতো সে ছিদ্র দিয়ে যাতে করে ভেতরে পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য চামড়া দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়া থাকতো। ডুবোজাহাজের সর্বপ্রথম সামরিক ব্যবহার শুরু করেন ১৭৭৬ সালে মার্কিন নৌবাহিনী।
রবার্ট ফুলটন এবং ডেভিড বুশনেল নামক দু'জন নৌ-যোদ্ধা ‘Turtie’ নামের ডুবোজাহাজ নিউইয়র্ক হার্বারের বৃটিশ জাহাজের দিকে চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাতে তারা জাহাজটিকে একটি আইটেম বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে। এই ডুবোজাহাজটিতে গতিসঞ্চারক হিসেবে ক্র্যাংক লাগানো ছিলো।
টাইমস/জিএস