ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সৈন্যরা গাদা বন্দুক নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিলো। দেখা যাচ্ছিল যে, এর ফলাফল প্রাপ্তির মাত্রাটা অত্যধিক কম। উদাহরণস্বরূপ- ‘ক্যাফির যুদ্ধ’।
ওই যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ৮০ হাজার কার্তুজ ব্যবহার করে মারতে পেরেছিল কেবল ২৫ আফ্রিকান সৈন্য। কারণ, গাদা বন্দুকের গুলি টার্গেটে যথাযথভাবে আঘাত হানতে পারতো না, গতিমুখ বিচ্যুতের সম্ভাবনা থাকতো বেশি।
এই সমস্যার সমাধান হয় ষোড়শ শতকে উদ্ভাবিত রাইফেল এর কারণে। যা এক ধরনের বহনযোগ্য দীর্ঘ ব্যারেল যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র। এই রাইফেলটি বুলেট ছোঁড়ার সময় বুলেটকে পাঁক খাইয়ে দিতে সক্ষম, যাতে বাতাসের বাধা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ব্রিটিশ সামরিক অস্ত্র নির্মাতাদের মাথায় এ ব্যাপারটি ঢুকেছিল অনেক পরে।
১৯৫০ সালে অগাস্টিন কোস্টার প্রথম রাইফেল তৈরি করেছিলেন। তিনি রাইফেলের চোঙকে খাঁজকাটা করে বানিয়েছিলেন। এবং ভেতর গাত্রে খাঁজ থাকার ফলে বুলেটে গতি দেবার জন্য প্যাঁচানো গতিপথ তৈরি হয়।
টাইমস/জিএস