করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই আতঙ্কিত। আশার কথা হলো- এখনো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি, তবে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
আমরা জানি যে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে এমন কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে তা চিকিৎসা করতে কার্যকর কোনো ওষুধ এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
আমাদের দেহে এক ধরনের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থা আমাদেরকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং আক্রান্ত হলে রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। ক্রমবর্ধমান নোভেল করোনার হুমকিতে তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই অন্যতম ভরসার স্থল।
চলুন জেনে নিই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমরা কী করতে পারি
লাইফ স্টাইল কোচ কৌতিনহোর মতে, প্রয়োজনীয়তা হিসেবে হাত ধোয়ার মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ এবং খাদ্য তালিকায় অ্যান্টি-ভাইরাল খাবার অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
এবার চলুন জেনে নিই, ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে (অ্যান্টি ভাইরাল) এমন সব ভেষজ উপাদান সম্পর্কে-
রসুন
এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ভাইরাল। এটি কাঁচা বা খাবারের সঙ্গে বা স্যুপের সঙ্গে যুক্ত করে খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা রসুনের কোয়া মধুর সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন এবং দুই থেকে তিন দিন পর প্রতিদিন একটি কোয়া খান। কৌতিনহোর মতে, এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দুর্দান্ত একটি উপায়।
আদা
আদা ও সামান্য মধু একসঙ্গে মেশান। আদা ও মধুর উপাদানগুলি একত্রে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাবে।
নারকেল তেল
আপনি চাইলে খাঁটি নারকেল তেলে খাবার রান্না করতে পারেন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এতে বিদ্যমান লরিমিক অ্যাসিড ও ক্যাপ্রিলিক অ্যাসিড খুবই কার্যকর।
রেসভারেট্রল
রেসভারেট্রল সমৃদ্ধ খাবার যেমন- চিনাবাদাম, পেস্তা, আঙ্গুর, লাল- সাদা ওয়াইন, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, এমনকি কোকো ও গাঢ় চকোলেট ছত্রাকের সংক্রমণ, অতিবেগুনী বিকিরণ, উদ্বেগ এবং আঘাতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন-সি একটি অপরিহার্য উপাদান। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকী, কাঁচা মরিচ, লেবু, সরিষা শাক, মিষ্টি আলু প্রভৃতি খেতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে আরও যা যা করতে পারেন-
বি.দ্র. উপরে আলোচিত উপায়গুলি আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর। অন্যদিকে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা আপনাকে করোনাসহ যেকোনো স্বাস্থ্য জটিলতা মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে, আবার অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানগুলি সাধারণভাবে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে কার্যকর। এগুলি করোনাভাইরাসের নিশ্চিত প্রতিষেধক বা চিকিৎসা নয়। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/এনজে/জিএস