চারটি উদ্ভিজ্জ আমিষে উৎস সম্পর্কে জেনে নিন

আমিষ বা প্রোটিন আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান। প্রোটিনের কথা আসলেই আমরা রেডমিট বা লাল মাংসের (গরু-খাসি) কথা ভাবি। কিন্তু প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এগুলি প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত নয়, কারণ রেডমিট স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার।

প্রোটিনের যে কোনো ভালো ও স্বাস্থ্যকর উৎসে কেবল এর পরিমাণ বেশি হলেই হবে না, একইসঙ্গে এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী পুষ্টির বিস্তৃত পরিধিও থাকা উচিত। তাছাড়া এতে অবশ্যই কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকতে হবে। এ কারণেই প্রাণীজ আমিষ থেকে উদ্ভিদ-ভিত্তিক আমিষের উৎস সমূহ তুলনামূলকভাবে বেশি স্বাস্থ্যকর।

আসুন জেনে নিই, আমিষ সমৃদ্ধ এমন কয়েকটি ফল সম্পর্কে-

কিশমিশ
কিসমিস মূলত শুকনো আঙুর। এই শুকনো ফলটি আমিষ ও ভিটামিনের একটি অনন্য সমাহার। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ১০০ গ্রাম কিসমিসে ৩ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।

পেয়ারা
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই ফলটি কাঁচা খাওয়া যায় বা সালাদে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও স্বাদ বাড়ানোর জন্য এর রস খাবার পানীয়তে যোগ করা হয়ে থাকে। পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ ফল। ইউএসডিএ অনুসারে ফলের ১০০ গ্রাম অংশের মধ্যে ৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। মজার বিষয় হলো- প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে ২.৬ গ্রাম আমিষ থাকে, যা আমরা অনেকেই জানি না।

খেজুর
খেজুর আমাদের প্রিয় ও অতিপরিচিত একটি ফল। এই মিষ্টি ফলটি বহু শতাব্দী ধরে মূল খাবার হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের দেশে রোজার সময় ইফতার বা সেহেরিতে খেজুর খাওয়া হয়। খেজুর খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। আমেরিকার কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী- প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে 8 গ্রাম ফাইবার এবং ২.৪৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

ছোলা
ছোলা বা চানা একটি ডালজাতীয় খাদ্যশস্য। এটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশে এটি চাষ করা হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভালো। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

টাইমস/এনজে

Share this news on: