দেশের প্রথম পতাকা ভাস্কর্য মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত

মুষ্টিবদ্ধ ছয়টি হাতের মধ্যে চারটি হাতে ধরে রেখেছে পতাকা দণ্ড। সেটির মাথায় যে পতাকাটি উড়ছে তা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার; বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত ঐতিহাসিক পতাকা। তবে রংহীন। আর এটিই ‘পতাকা-৭১’ ভাস্কর্য। যা মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র লিচুতলা এলাকায় অবস্থিত। ২০১৮ সালের ২ মার্চ এই ‘পতাকা-৭১’ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয়।

সরকারের আর্থিক সহায়তা ছাড়াই ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে এই ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। যার নকশা করেছেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ঘাটশীলার ভাস্কর ইমরান হোসেন। ভাস্কর্যের নামকরণ করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক আলমগীর টুলু এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে স্থানীয় বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ‘পতাকা-৭১’ ভাস্কর্য নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করে।

ভাস্কর ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘পতাকা-৭১’ ভাস্কর্য নির্মাণের পেছনের কথা, তিনি বলেন- প্রথমে পুরান ঢাকার চকবাজারে ভাস্কর্যের ছাঁচগুলো তৈরির কাজ শুরু হয়। দুই মাস সেখানে মাটিতে নকশার কাজ করা হয়। পরে প্লাস্টারের মাধ্যমে ওই জায়গায় ছাঁচ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছাঁচ মুন্সিগঞ্জে এনে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়।

ভাস্কর্যের ছয়টি হাত নির্মাণের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ হিসেবে সেই ছয় দফাকেও এই পতাকা ভাস্কর্যের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। ছয়টি হাত ছয় দফা দাবির একেকটি প্রতীক।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: