বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। সংস্থাটি বলছে, এই মহামারী মূলত চীনে ছড়িয়ে পড়েছে এবং চীনের বাইরের খুব কম সংখ্যক লোকই সংক্রামিত হয়েছেন, তাই এখনি অতিরিক্ত ঘাবড়ে যাওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা শনিবারের হিসাব অনুযায়ী ২৩৪৫ জন। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬২৮৮ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবস্থাপনার পরিচালক বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ চীনের বাইরে এখন আর নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
সংস্থাটি আরও বলেছে যে, সংক্রমণের মৃত্যুর হার প্রায় ২%, যা অন্যান্য গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম (সার্স) বা মধ্য প্রাচ্যের রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) এর চেয়ে কম মারাত্মক।
ডাব্লুএইচও কর্মকর্তারা মনে করেন না যে, সংক্রমণের নতুন ঝুঁকি এড়াতে জাপানের করোনাভাইরাস আক্রান্ত ডায়মন্ড প্রিন্সেসের মতো অন্যান্য ক্রুজগুলিও থামানো উচিত।
‘পরিস্থিতি আনুপাতিকভাবে গ্রহণ করা উচিত। হঠকারী পদক্ষেপ এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে না’ জেনেভাতে ডাব্লুএইচওর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াসস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
চলুন জেনে নিই, করোনা ভাইরাস সংক্রামণের লক্ষণ-
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোংনান হাসপাতালের গবেষকরা জানিয়েছেন, জ্বর কোভিড১৯-এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে-
যেহেতু এগুলি সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ তাই কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। আপনি যদি এই লক্ষণগুলির কোনো একটির মুখোমুখি হয়ে থাকেন, তবে উচিৎ অন্যদের থেকে আলাদা হওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
এবার জেনে নিই, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ-
টাইমস/এনজে/জিএস