যে কারণে শাবনূরকে ‘অবহেলা’ করতেন স্বামী অনিক

একসময়কার বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। সকাল থেকে তাকে নিয়ে একটি খবর বেশ আলোচিত হয়েছে। স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছেন শাবনূর।

তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ‘তালাক’ প্রসঙ্গে শাবনূর ও তার স্বামীর কোন বক্তব্য এখনো গণমাধ্যমে আসেনি।

এদিকে ডিভোর্সের বিষয়ে দুজনের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে শাবনূরের। নায়িকার অভিযোগ, প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতো তার স্বামী অনিক। ঠিক মতো শাবনূরের খোঁজ খবরও রাখতেন না তিনি। সেই সময় শাবনূরকে না জানিয়ে গোপনে অন্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন অনিক।

তবে অনিক যার সাথে সম্পর্ক গড়েছেন তার নাম আয়েশা। সেই নারীকে শাবনূরের অনুমতি ছাড়া বিয়েও করেন তিনি।

বুধবার সকালে আয়েশার সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করা হয়। মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনও রিসিভ করেন। কিন্তু ফোনের এপার থেকে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোন কেটে দেন।

২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এই সন্তানের জন্মের পর অনিকের মধ্যে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন বলে অভিযোগ করেছেন শাবনূর।

শাবনূরের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ঘরে পুত্রসন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে অনিকের সঙ্গে শাবনূরের দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, সেই সূত্রের দাবি, শাবনূরকে না জানিয়ে প্রায় ৪ বছর আগে শাবনূরের স্বামী অনিক মাহমুদ আয়েশা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেছেন।

এমন খবর হাতে আসার পর বুধবার সকালে এই প্রসঙ্গে শাবনূরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি গণমাধ্যমের পরিচয় শুনে কথা বলতে আগ্রহী হননি।

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়।

অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ জানান, নোটিশে মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রী শাবনূরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে অনিকের বিরুদ্ধে।

শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এই তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন।

তবে আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এই তালাক কার্যকর হবে।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ