তীব্র গরমে লেয়ার ও ব্রয়লারের শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এতে করে মুরগির হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আর হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধে এবং এই জমাট বাঁধা রক্তের কারণে মুরগি স্ট্রোক করে। এই সময় সচেতন না হলে এবং সঠিক যত্ন না নিলে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা যাওয়ার আশংকা অনেক বেশি। তাই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মুরগির কিডনি, হার্ট ,ফুসফুস কাজ করতে না পারার কারণে মুরগি স্ট্রোক করে থাকে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক করে মুরগি মারা যাওয়ার প্রাক্কালে কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। তা হলো-
- আক্রান্ত মুরগীকে অস্থির দেখায়।
- পানির পাত্রের উপর মুরগি হুমড়ি খেয়ে পরে।
- মুরগিগুলো যেদিকে একটু ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছে সেদিকে ছুটতে থাকে।
- শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, এসময় মুরগি হা করে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে।
- মুরগির ঝুঁটি বিবর্ণ হয়ে যায়।
- শরীর থেকে পাখা দূরে সরিয়ে রাখে।
- ঝিমুনি ধরা, ডায়রিয়া ও খিঁচুনিও হতে পারে।
- হার্ট অ্যাটাক করেও অনেক সময় মুরগি মারা যায়।
চলুন জেন নিই, হিটস্ট্রোকে মুরগির মৃত্যুহার কমাবে যেভাবে
- খামার ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- খামারে ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে। পানি ঠাণ্ডা করতে প্রয়োজনে পাত্রে বরফের টুকরা দিয়ে রাখতে পারেন।
- খামারে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সিলিং ফ্যান ব্যবহারের চেয়ে স্ট্যান্ড ফ্যান ব্যবহার করা উত্তম।
- খামার ঘরের টিনের উপর বস্তা/চট/নারিকেল গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং দিনের উত্তপ্ত সময়ে এক ঘণ্টা পরপর পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে।
- খামারে মুরগি অতিরিক্ত ঘন করা যাবে না।
- খামারে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সুযোগ রাখতে হবে। সূর্যের আলো যেন সরাসরি ঘরে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে খামারের পূর্ব-পশ্চিমে বারান্দার মতো করে রাখতে পারেন। কিন্তু পর্দা দিয়ে রোদ ঠেকানো যাবে না।
- মুরগিকে দিনের শীতল সময়ে খাবার পরিবেশন করবেন। দুপুরে অতিরিক্ত গরমে খাবার দিবেন না। তবে পানির পাত্র কখনই ফাঁকা রাখা যাবে না।
- মুরগিকে শান্তভাবে বসে থাকতে দিন। মুরগির ইচ্ছা হলে পানি পান করবে। মনে রাখবেন, এ সময় বারবার মুরগিকে তুলে দিয়ে পানি পান করানোর দায়িত্ব আপনার নয়।
- ভেটেরিনারিয়ান বা প্রাণীচিকিৎসকের পরামর্শে ভালো কোনো ইলেক্ট্রোলাইট পরিবেশন করুন।
টাইমস/জিএস