হাসপাতালে ভর্তি ইলিয়াস জাভেদ

একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও নৃত্য পরিচালক ইলিয়াস জাভেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি বাংলাদেশ টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

তিনি বলেন, আমি ও মিশা সওদাগর ভাই জাভেদ ভাইকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমাদের সঙ্গে ভাবিও (জাভেদ ভাইয়ের স্ত্রী) আছেন। শনিবার সকালে তার অপারেশন করার কথা রয়েছে।

জায়েদ খান বলেন, তার প্রস্রাবে সমস্যা। আমরা তার জন্য দোয়া চাচ্ছি।

১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত নায়কদের মধ্যে জাভেদ ছিলেন অধিক জনপ্রিয়। নিজে নাচতেন ও নায়িকাদের নাচিয়ে পর্দা কাঁপিয়ে তুলতেন।

জন্ম ১৯৪৪ সালে আফগানিস্তানে। পরে তারা পেশোয়ার হয়ে পাঞ্জাবে আসেন। শৈশবে তার প্রিয় নায়ক ছিলেন দিলীপ কুমার। বাবা ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তিনি চাইতেন ছেলেরা ব্যবসায়ী হবে, নয়তো চাকরি করবে। কিন্তু জাভেদের ওসব দিকে আদৌ মন ছিল না। কীভাবে অভিনেতা হওয়া যাবে এ নিয়েই তিনি ভাবতেন।

সিনেমা দেখা, গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন জাভেদ। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। সবশেষে বাবা-মায়ের কাছে না বলেই জাভেদ পাঞ্জাব ছেড়ে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকায়।

নায়ক জাভেদ অভিনয় করেছেন ‘মালকা বানু’, ‘অনেক দিন আগে’, ‘শাহাজাদা’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রবান’, ‘সুলতানা ডাকু’, ‘আজো ভুলিনি’, ‘কাজল রেখা’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘নিশান’, ‘বিজয়িনী সোনাভান’, ‘রূপের রানী’, ‘চোরের রাজা’, ‘তাজ ও তলোয়ার’, ‘নরমগরম’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘জালিম’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘সতী কমলা’, ‘বাহারাম বাদশা’, ‘আলাদিন আলী বাবা’, ‘সিন্দাবাদ’ প্রভৃতি সিনেমায়।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ