কাপড়ের তৈরি মাস্ক সম্পর্কে যেসব তথ্য জেনে রাখা ভালো

করোনাভাইরাসের মতো ভয়াবহ মহামারী ছড়িয়ে পড়া রুখতে সাহায্য করবে ফেস মাস্ক, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা সে কথাই বলছে। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিয়েছে তীব্র মাস্ক সংকট। আপনি চাইলেও বাজার থেকে করোনার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকর সার্জিক্যাল মাস্ক বা এন-৯৫ মাস্ক কিনতে পারছেন না।

এমতাবস্থায় বাজার ছেয়ে গেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৈরি বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক পদার্থের তৈরি মাস্কে, যা ব্যবহারের ফলে আপনার ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে প্লাস্টিক পার্টিক্যালস বা অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণায়। সুতরাং আপনার কাছে আর মাত্র একটি বিকল্প খোলা আছে তা হলো- কাপড়ের তৈরি মাস্ক।

আসুন কাপড়ের তৈরি মাস্ক সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিই

আপনি চাইলে সহজেই বাজার থেকে কাপড়ের তৈরি মাস্ক কিনতে পারেন কিংবা নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চললে আর নিয়মিত হাত সাবান দিয়ে ধৌত করলে, কাপড়ের মাস্কও আপনাকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সমাধান হতে পারে।

রিসার্চগেটে প্রকাশিত ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, শতভাগ সুতি কাপড়ের তৈরি মাস্ক ফ্লু ভাইরাসের আকারের যে কোনো ভাইরাস ঠেকাতে ৬৯% কার্যকর, এক্ষেত্রে লিনেনের তৈরি মাস্কের কার্যকারিতা ৬০-৬১ শতাংশ। যেহেতু করোনাভাইরাসটি একেবারেই নতুন তাই এটি ঠেকাতে কাপড়ের তৈরি মাস্ক কতটা কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।

এক্ষেত্রে অনেক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ হলো- আপনি ব্যবহারের পূর্বে লাইট টেস্টের দ্বারা কাপড়ের তৈরি মাস্কের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। মাস্কের ভেতর দিয়ে যত কম আলো অতিক্রম করতে পারবে মাস্কটি তত বেশি কার্যকর হবে।

কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে

  • দুই পরত কাপড় হলে সেটি বেশি নিরাপত্তা দেবে। অতিরিক্ত কাপড়ের আস্তরণ অতিক্ষুদ্র কণাগুলি ছাঁকতে সহায়তা করবে।
  • মাস্কটি যাতে ভালো করে মুখ ও নাক ঢেকে রাখে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • মাস্ক ব্যবহারের পর সেটি ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • মাস্কটি ব্যবহারের সময় বারবার সেটি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • বাইরে থেকে ফেরার পর মাস্কটি নিরাপদ জায়গায় রাখুন, যাতে তা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে। দ্বিতীয়বার ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করুন।

কাপড়ের মাস্ক আপনাকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শতভাগ নিরাপত্তা দেবে এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে যেহেতু সার্জিক্যাল মাস্ক বা এন-৯৫ পাচ্ছেন না তাই মন্দের ভালো হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। মাস্ক না পড়ার থেকে কাপড়ের মাস্ক পড়া ভালো। তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ