চোখের মাধ্যমে যেভাবে করোনা আক্রমণ করে

করোনাভাইরাসের কারণে এখন সারা বিশ্বে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের গতি প্রকৃতি নিয়েও চলছে নানা গবেষণা। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির ড্রপলেট বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। এই ড্রপলেট রোগীর কাছাকাছি থাকা সুস্থ মানুষের নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে তার শরীরে প্রবেশ করে।

চোখের মাধ্যমে কেমন করে সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করে? অনেকের মনে এমন প্রশ্ন থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির ড্রপলেট তার কাছাকাছি থাকা সুস্থ মানুষের চোখের অশ্রুগ্রন্থির সঙ্গে মিশে নেত্রনালিতে চলে যায়। এরপর তা সরাসরি নাকে প্রবেশ করে। সেখান থেকে শ্বাসতন্ত্রে যায় এবং সংক্রমণ শুরু করে।

শিকাগো স্কুল অব মেডিসিনের প্যাথোলজি বিভাগের অধ্যাপক সু-ইউয়ান জিয়াও চীনের করোনায় আক্রান্ত রোগীদের রিপোর্ট পরীক্ষা করেন। তার মতে, আক্রান্ত ভ্রক্তির সংস্পর্শে এই ভাইরাস চোখের অশ্রুগ্রন্থি থেকে ট্রাকিয়া হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায়। এরপর ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অঞ্চলে আক্রমণ করে উপরের শ্বাসনালী ও ট্রাকিয়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এক্ষেত্রে চশমা ব্যবহারের বিপরীতে অথবা ফ্যাশনে যার কন্টাক্ট লেন্স পরেন তাদের কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ তারা অন্যদের তুলনায় বেশি করে চোখ স্পর্শ করেন।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। 'দ্য গার্ডিয়ান' এ প্রকাশিত সে প্রতিবেদনে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের নানা ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি চোখে সংক্রমণ হওয়া। আর এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণুর কারণে হওয়া কেরাটিটিস সংক্রমণ।

যুক্তরাষ্ট্রের সে গবেষণায় জানা গেছে, ৪৫ ভাগ ব্যবহারকারীই চোখে লেন্স খোলা বা পরার আগে হাত ধুয়ে নেন না। সঠিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ না মানার কারণেই এ সংক্রমণ বেশি হয় বলে দাবি গবেষকদের।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ