হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় অলিভ ওয়েল

প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে অলিভ ওয়েল কিংবা ভেজিটেবল ওয়েল যুক্ত হলে তা সুস্থ রাখবে আপনার হৃদপিণ্ডটিকে। নতুন একটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে এক চামচ অলিভ ওয়েল খেলে তা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

গবেষকরা মার্চের প্রথম সপ্তাহে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত লাইফস্টাইল অ্যান্ড কার্ডিওমেটাবোলিক হেলথ সেশনে তাদের গবেষণালব্ধ এসব তথ্য তুলে ধরেন।

১৯৯০ সাল থেকে দীর্ঘ সময় ধরে গবেষকরা এসব বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, প্রতিদিন ১/২ চামচের বেশি অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ হ্রাস করে এবং করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ২১ শতাংশ হ্রাস করে।

এ বিষয়ে ডক্টর বেঞ্জামিন হির্স বলেন- “অলিভ ওয়েল অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর তেলের একটি উত্তম বিকল্প। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস, যা প্রদাহ নাশ করে এবং কোলেস্টেরলের স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখে। এটি হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” বেঞ্জামিন হির্স নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সান্দ্রা আলটাস ব্যাস হার্ট হসপিটালের প্রেভেন্টিভ কার্ডিওলোজি বিভাগের পরিচালক।

অন্যান্য প্রাণীজ তেল যেমন মার্গারিন, মেয়োনিজ, বাটার, ঘি প্রভৃতি অলিভ ওয়েলের তুলনায় খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এসব প্রাণীজ তেল গ্রহণের নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।

তবে গবেষকরা বলছেন, অলিভ ওয়েলই একমাত্র তেল নয়, যাতে এসব স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। বরং অন্যসব ভেজিটেবল ওয়েলেও কমবেশি একই স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে।

বেঞ্জামিন আরও বলেন- “অলিভ ওয়েল প্রাণীজ তেলগুলির তুলনায় খুবই স্বাস্থ্যকর, তবে তার মানে এই নয় যে এটি অন্যান্য ভেজিটেবল ওয়েলের থেকেও ভালো। অর্থাৎ প্রাণীজ তেলগুলির বদলে আপনি যদি অন্যকোনো ভেজিটেবল ওয়েলও ব্যবহার করেন সেটিও আপনার হৃদপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর হবে।”

গবেষণার ফলে অনেক নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, এই বিষয়ে আরও গবেষণা আর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ভবিষ্যতে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং অলিভ ওয়েলের মধ্যকার সম্পর্ক গভীরভাবে তুলে ধরতে সক্ষম বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

গবেষণায় সাধারণ অলিভ ওয়েল আর এক্সট্রা ভার্জিনি অলিভ ওয়েলের মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করা হয়নি। তবে গবেষকরা এটা স্বীকার করেছেন যে, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলে পলিফেনলের পরিমাণ বেশি থাকে। পলিফেনল লিপিড প্রোফাইল বজায় রাখতে ও প্রদাহ হ্রাস করতে অত্যন্ত কার্যকর। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে।/জিএস

Share this news on: