করোনাভাইরাস : অ্যাজমা রোগীদের যা জানা প্রয়োজন

নোভেল করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগটির অন্যতম প্রধান উপসর্গ হলো- কফ ও শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ঠাণ্ডা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং অনেক সময় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, রোগটি তাদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অ্যাজমার মতো দুরারোগ্য ব্যাধি রয়েছে, কোভিড-১৯তে আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। তবে রোগটি অ্যাজমা রোগীদেরকে কিভাবে প্রভাবিত করবে কিংবা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় কিনা, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

অ্যাজমা অ্যান্ড অ্যালার্জি ফাউন্ডেশন অব আমেরিকার তথ্য মতে, করোনাভাইরাস পূর্ববর্তী মার্স প্রাদুর্ভাবের সময় অ্যাজমা রোগীরা অতিরিক্ত ঝুঁকিতে ছিলেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মার্স আক্রান্ত প্রায় ৩১ শতাংশ রোগী অ্যাজমাতেও আক্রান্ত ছিলেন।

তাই, করোনা প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে আপনার অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাজমার ওষুধ চালিয়ে যান, প্রয়োজনে নিয়মিত ইনহেলার গ্রহণ করুন। আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইম্যুনোলজির প্রকাশিত তথ্য বলছে- অ্যাজমার কোনো ওষুধ কিংবা ইনহেলার কোরানা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়ায় না।

আসুন জেনে নিই, অ্যাজমা থাকলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কী করতে পারেন

  • ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ ও ইনহেলার চালিয়ে যান।
  • প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইনহেলার সংগ্রহে রাখুন, যাতে অ্যাজমার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • যেসব বিষয় আপনার অ্যাজমা অ্যাটাক ট্রিগার করতে পারে, সেগুলি সাবধানতার সঙ্গে এড়িয়ে চলুন (যেমন ঠাণ্ডা, বিড়াল বা কুকুরের লোম, বদ্ধ পরিবেশ, বিশেষ কিছু খাবার প্রভৃতি)।
  • ঘর-বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
  • ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন, মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • মানসিক চাপ এবং আতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • অ্যাজমার উপসর্গ দেখা দিলে এবং ইনহেলারে সেটা নিয়ন্ত্রণ না হলে রাষ্ট্রীয় জরুরী সেবা নাম্বারে যোগাযোগ করুন এবং পরামর্শ গ্রহণ করুন।
  • অন্যদের থেকে ৬ ফিট দূরে থাকুন।
  • হাত দিয়ে বারবার নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • সাবান বা সেনিটাইজার দিয়ে বারবার হাত ধৌত করুন।
  • যেসব স্থান বারবার স্পর্শ করতে হয় সেগুলি পরিষ্কার রাখুন। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম, ওয়েবএমডি ও ইউএস নিউজ

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ