বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা পর্যন্ত এই সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৭ জন। এই সময় পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি। প্রাণহানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সব বয়সীরাই এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, এমন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিভিন্ন রোগব্যাধির মধ্যে ক্যান্সার মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তবে সব ক্যান্সার রোগী সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে- রক্তের ক্যান্সারে (লিউকোমিয়া, লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়লোমা) আক্রান্ত রোগী, কেমোথেরাপি নেয়া যেকোনো রোগী এবং রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম থাকা রোগী।
যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত, এই অবরুদ্ধ সময়ের মধ্যেই হয়তো তাদের অনেকের কেমোথেরাপি বা চিকিৎসকের নিয়মিত ফলোআপের তারিখ পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চাইলে এ সময় কেমোথেরাপির শিডিউল পরিবর্তন করতে পারেন। আবার যারা ইতিমধ্যে কেমো বা রেডিওথেরাপি নিচ্ছেন, তাদের জন্যও বিশেষ সতর্কতা দরকার। যেসব উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হবেন, সেগুলো হলো-
জ্বর, কাশি, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, গলাব্যথা, খাবারের স্বাদ কমে যাওয়া, পাতলা পায়খানা এবং গা–হাত–পা ব্যথা।
এছাড়া ফুসফুসের জটিলতার সঙ্গে যদি বুকে চাপ, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট, মুখ নীল বর্ণ ধারণ এবং চেতনা হারানোর উপসর্গ দেখা দেয় তাহলেও সতর্ক হতে হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ কিছু বিষয়, যেমন- মাস্ক ব্যবহার করা, বাড়িতে থাকা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, চোখ-মুখ স্পর্শ না করা, সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন মেনে চলা (কমপক্ষে তিন ফুট বা এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, হাত মেলানো ও কোলাকুলি না করা) ইত্যাদি ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
জেনে নিন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে যা দরকার
টাইমস/জিএস