করোনাভাইরাস: ভ্যাপিং ও ধূমপায়ীদের যা জানা দরকার

কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলার ফলে গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন- ধূমপান কিংবা ভ্যাপিং থেকে বিরত থাকতে। কারণ, ধূমপায়ী কিংবা ভ্যাপিং ব্যবহারকারী কোভিড-১৯ রোগটিতে আক্রান্ত হলে তা থেকে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকিও সৃষ্টি হয়।

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ধূমপান ছেড়ে দিলে কোভিড-১৯ ঝুঁকি হ্রাস হয়। এর ফলে ধূমপায়ী ও ভ্যাপিং ব্যবহারকারীদের অনেকেই তাদের এই অভ্যাস ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

ধূমপান না ভ্যাপিং কোনটি বেশি নিরাপদ?
ধূমপায়ীদের সিগারেট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় দেখানো হয় ই-সিগারেটের মাধ্যমে। একে ভ্যাপিং বলা হয়। বলা হয়ে থাকে, ই-সিগারেটে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ কম থাকে, ফলে অনেকেই সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেটসহ নানারকম ভ্যাপিং সামগ্রী ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলেছেন।

তবে, ধূমপান ও ভ্যাপিং দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থার ক্ষতি সাধন করে এবং ফুসফুসকে দুর্বল করে ফেলে। ফলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে তা জটিল পর্যায়ে চলে যেতে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস পরিচালনা করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান বা ভ্যাপিংয়ের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। এই অভ্যাস আপনাকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্বল করে তুলবে।

ভাগাভাগি করে ধূমপান বা ভ্যাপিং করবেন না
ধূমপান বা ভ্যাপিংয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা অনেক সময় অন্যকারো সঙ্গে ভাগাভাগি করেও ধূমপান ও ভ্যাপিং করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি অন্যকারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ধূমপান বা ভ্যাপিং করেন সেটি আপনার কোভিড-১৯ রোগটিতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। কারণ, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কোভিড-১৯ ছড়ায়। তাই ভাগাভাগি করে ধূমপান বা ভ্যাপিংয়ের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

এই মুহূর্তে ধূমপান ছাড়তে না পারলে করণীয়
অনেকের পক্ষেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে ধূমপান বা ভ্যাপিং ত্যাগ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তারা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমাতে পারেন।

  • ধূমপান বা ভ্যাপিংয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধান আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করুন। উদাহরণ স্বরূপ, প্রতি ঘণ্টার বদলে দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর সেটা করার চেষ্টা করুন।
  • ধূমপান বা ভ্যাপিংয়ের বদলে নিকোটিন চুইংগাম বা প্যাচ প্রভৃতি ব্যবহার করতে পারেন।
  • খুব বেশি গভীরে ধোয়া বা ভ্যাপিং নেবেন না, হালকা করে গ্রহণ করে দ্রুত ত্যাগ করার চেষ্টা করুন, বেশিক্ষণ আটকে রাখবেন না।
  • ফ্লেভার ছাড়া ভ্যাপিং করুন। ম্যাসাচ্যুসেটস জেনারেল হসপিটালের মতে, ভ্যাপিংয়ের ফ্লেভারের জন্য ব্যবহৃত ম্যান্থল কিংবা অন্যান্য পদার্থ বিভিন্ন সংক্রামণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: