এসি থেকেও ছড়াতে পারে করোনা

বর্ষপঞ্জির হিসাবে শীত বিদায় নিয়েছে। চলছে বসন্ত। প্রকৃতিতে গরমের আবহ শুরু হয়ে গেছে। এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হানা যেন থামছে না। হর হামেশাই মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ফলে ভাইরাস মোকাবেলায় এই গরমে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।

আর এই গরমে গৃহবন্দি অবস্থায় একটু স্বস্তিতে থাকতে এসি (এয়ার কন্ডিশনার) ছাড়বেন! তবে, একটু ভেবে নিন। কারণ, 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন'র (সিডিসি) জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র বলছে, এ সময়ে দরকারি এ যন্ত্রটিও আপনার জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে। এই জার্নালে প্রকাশিত নতুন তথ্য হলো- এসি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস।

জানা গেছে, চিনের গানজাংহু প্রদেশে এক রেস্তোরাঁয় উহান থেকে এক ব্যক্তি সপরিবারে খেতে গিয়েছিলেন। তার পাশাপাশি এক মিটারের থেকেও বেশি দূরত্বে থাকা আরও দুটি পরিবার খেতে বসেন অন্য দুই টেবিলে। সামনে ছিল একটি এসি। পরবর্তীতে দেখা যায়, প্রায় একই সময়ে ওই তিনটি পরিবারের মোট ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই তিন টেবিলের কেউই কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে কাউকে স্পর্শও করেননি। পরে দেখা যায়, এদের মধ্যে উহান ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনার লক্ষণ দেখা দেয়।

গবেষণায় দেখা যায়, করোনাভাইরাস ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। কথা বলা, হাঁচি, কাশির ফলে যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা আয়তনে প্রায় ৫ মাইক্রোমিটারের বেশি। এত বড় কণার পক্ষে এক মিটারের বেশি দূর পর্যন্ত যাওয়া খুব মুশকিল। তাই সেটা এক মিটারের মধ্যেই থিতিয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীদের মতে, যে ড্রপলেটের এক মিটারের মধ্যে লুটিয়ে পড়ার কথা, এয়ার কন্ডিশনের বায়ুর প্রবাহ সেগুলোকে অনেকটা বেশি দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে।

জেনে নিন, এসি নিয়ে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

  • সেন্ট্রাল এসি আছে, সেই জায়গা থেকে করোনাভাইরাসের রোগীদের একটু দূরে রাখতে হবে।
  • যেসব হাসপাতালে সেন্ট্রাল এসি রয়েছে, সেসব হাসপাতালে প্রতি দু’জন রোগীর মধ্যে দূরত্ব আরও একটু বাড়াতে হবে।
  • ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোর ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় এসির ব্লোয়ার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

মোট কথা হলো- এসি চালালেও দিনের কোনো একটা সময় অন্তত জানালা দরজা খুলে দিন। পর্দা নামিয়ে ঘরে সূর্যের আলো আসতে দিন। অর্থাৎ বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: